আপনার কাছে কি ব্রিটিশ আমলের পুরনো ১ টাকার নোট আছে? যদি থাকে, আপনি তাহলে ভাগ্য নিয়ে বসে রয়েছেন। সম্প্রতি, পুরনো মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিশেষ করে এক টাকার নোট, আশ্চর্যজনকভাবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অনলাইন নিলামে, একটি এক টাকার নোটের দাম 7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এই নোটগুলির দাম তাদের বয়স এবং অনন্যতার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। পুরনো এক টাকার নোটের চাহিদা যেহেতু বাড়ছে এবং কিছু সংগ্রাহক তাদের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ দিতে ইচ্ছুক।
কয়েন বাজারের মতো ওয়েবসাইট এবং কুইকার-এর মতো প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক নোট বেশি দামে নিলাম হতে দেখা গিয়েছে। এই দুষ্প্রাপ্য নোটগুলির মধ্যে কিছু কিছুর দাম প্রায় 7 লক্ষ টাকাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পুরনো এক টাকার নোট এত দামি কেন?
এই পুরানো নোটের উচ্চমূল্যের কারণ তাদের ঐতিহাসিক তাৎপর্য। প্রায় 29 বছর আগে ভারত সরকার এক টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেয়। যদিও এগুলি 2015 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পুনরায় চালু করা হয়েছিল। স্বাধীনতার আগে তৈরি নোটগুলি তাদের বিরলতা এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে সংগ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।
এরই একটি বিশেষ মূল্যবান উদাহরণ হল ব্রিটিশ ভারতে 1935 সালে জারি করা এক টাকার নোট। এই নোট, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তৎকালীন গভর্নর দ্বারা স্বাক্ষরিত। যা অত্যন্ত বিরল। নিলামে এই নোটই 7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যেতে পারে। কারণ এর বয়স – প্রায় 80 বছর বয়স। বুঝতেই পারছেন যে ব্রিটিশ যুগের সাথে এর সংযোগের জন্য এটি সংগ্রহকারীদের জন্য মূল্যবান।
কীভাবে আপনার পুরানো নোট বিক্রি করবেন?
যদি আপনার কাছে পুরানো এক টাকার নোট বা অন্যান্য মুদ্রা এবং কয়েন থাকে, আপনি সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। আপনি কয়েন বাজার বা কুইকরের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: BSNL-এর ঘুম কাড়ল Jio, এই নতুন রিচার্জ প্ল্যান লঞ্চ করে
যাইহোক, মনে রাখবেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) আনুষ্ঠানিকভাবে পুরনো নোট এবং কয়েন ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দেয় না। সুতরাং, আপনার পুরনো মুদ্রা বিক্রি করার চেষ্টা করার আগে আপনি সঠিক নিয়ম জেনে নিন।