রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্দেশ্যে একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শূন্যপদের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলাভিত্তিক তালিকা চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই তালিকার উপর ভিত্তি করেই ডিসেম্বর মাসে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে চলেছে।
২০২৪ সালের টেট পরীক্ষা না হওয়ার সম্ভাবনা
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে এই বছর আর প্রাথমিক স্তরের টেট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
ঠিক এই কারণেই নতুন টেট পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে পূর্ববর্তী টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু এই নিয়ে প্রার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া শুরুর খবরে তাদের মধ্যে আশার আলো দেখা গিয়েছে।
জেলা ধরে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের স্কুল শিক্ষাদপ্তরকে ইতিমধ্যে একটি নির্দেশ দিয়েছে যে, প্রতিটি জেলার জন্য পৃথক শূন্যপদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এটি যত দ্রুত সম্পন্ন হবে ততই ভালো, কারণ ডিসেম্বরের মধ্যেই এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার উদ্দেশ্য রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব পূরণ করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২২ এবং ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মূলত ২০২২ এবং ২০২৩ সালে টেট পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছিল তারাই অগ্রাধিকার পাবে। শূন্যপদের সংখ্যা অনুযায়ী এই প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন শুরু করেছে। এবার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে এটাই আশা করা যাচ্ছে।
এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষার আরো একধাপ অগ্রগতি হবে। নিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক যুক্ত করা সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এক ধাপ এগিয়ে যাবে।