সরকারের এই প্রকল্পে মাত্র ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করুন, প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকার বেশি পেনশন পাবেন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

NPS Scheme Benefits 2024: আপনার অবসর জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং নিয়মিত মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করার জন্য ভারত সরকারের প্রবর্তিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা NPS

এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো কর্মজীবনের সময়কালে বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি বড় আকারের রিটায়ারমেন্ট ফান্ড গঠন করা এবং অবসরের পরে প্রতি মাসে ওই প্রবীণ নাগরিককে পেনশন প্রদান করা। আজকের এই প্রতিবেদনে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেব। 

কিভাবে কাজ করে NPS?

NPS হলো একটি বাজার সংযুক্ত স্কিম, যেখানে আপনার বিনিয়োগের উপর আয় বাজারের অবস্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এই স্কিমের দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, টায়ার-১ অ্যাকাউন্ট এবং টায়ার-২ অ্যাকাউন্ট। 

  • টায়ার-১ অ্যাকাউন্ট- এটি বাধ্যতামূলক এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ অ্যাকাউন্ট। এখান থেকে আপনি ৬০ বছর বয়সে পৌঁছালে ৬০% টাকা এক সাথে তুলতে পারবেন। 
  • টায়ার-২ অ্যাকাউন্ট- যাদের টায়ার-১ অ্যাকাউন্ট আছে তারাই খুলতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট। এখানে আপনার টাকা তুলতে কোন বাধা নেই, আপনি যখন ইচ্ছা টাকা তুলতে পারবেন। 

স্কিমে বিনিয়োগের সুবিধা

NPS প্রকল্পের মাধ্যমে অবসর গ্রহণের পর ৬০% টাকা একত্রে তুলে নেওয়া যায়। অবশিষ্ট ৪০% টাকা রেখে দিতে হয়, যা আপনার মাসিক পেনশনের উৎস হবে। এই ৪০% টাকা থেকেই আপনাকে প্রতি মাসে পেনশন দেওয়া হবে। পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার বিনিয়োগের উপর। 

৫০ হাজার টাকার বেশি মাসিক পেনশন পাওয়ার উপায় 

আপনি যদি ৩৫ বছর বয়সে NPS-এ বিনিয়োগ শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ২৫ বছর ধরে ১৫০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনি একটি বড় অঙ্কের পেনশন পাবেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
  • প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করলে ২৫ বছরে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৪,৫০,০০০ টাকা।  
  • ১০% সুদের হারে আপনার মোট সুদ হবে ১,৫৫,৬৮,৩৫৬ টাকা।
  • এক্ষেত্রে আপনার মোট টাকা হবে ২,০০,৬৮,৩৫৬ টাকা।

এখান থেকে ৪০% টাকা অর্থাৎ ৮০,২৭,৩৪২ টাকা আপনি ফান্ডে রেখে দেবেন। যা থেকে আপনি মাসে ৮ পার্সেন্ট সুদের হারের ৫৩,৫১৬ টাকা পেনশন পাবেন।। আর বাকি ১,২০,৪১,০১৪ টাকা আপনি একসঙ্গে তুলে নিতে পারবেন।

NPS-এর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য 

NPS প্রকল্পের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-

  • আকর্ষণীয় কর ছাড়– NPS-এ বিনিয়োগ করলে আপনি আয়কর আইনের নিয়মে কড়ছাড়ের সুবিধা পাবেন, যার ফলে বছরে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া সম্ভব। 
  • বাজারের সাথে সংযুক্ত সুবিধা- NPS একটি বাজার নির্ভর স্কিম। এটি শেয়ার বাজারে ভালো রিটার্নের সুবিধা দেয় যা অন্যান্য পেনশনের স্কিম দিতে পারেনা।  
  • নমনীয় বিনিয়োগের পদ্ধতি- NPS-এ আপনি ইকুইটি, কর্পোরেট বন্ড এবং সরকারি সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিনিয়োগ ভাগ করে নিতে পারেন। এখানে আপনি নিজের ঝুঁকি মাত্রা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

আরও পড়ুন: বোর্ডের নতুন নিয়ম! এবার থেকে বই খুলে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া যাবে

NPS কেন বেছে নেবেন? 

আপনি NPS বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন কারণে। সেই কারণগুলি হল- 

  • দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিরাপত্তা- ৬০ বছর বয়সের পরে আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রকল্প। 
  • নিয়মিত পেনশন ব্যবস্থা- আপনার মাসিক খরচ নির্বিঘ্ন রাখতে NPS আপনাকে নিশ্চিত মাসিক পেনশন দেবে।
  • নিরাপদ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা- এটি একটি সরকার স্বীকৃত স্কিম, যা নিয়ন্ত্রিত স্বচ্ছ বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে।

Leave a Comment