ভারতের কোটি কোটি জনগণ সরকারের দেওয়া রেশনের উপর সরাসরি নির্ভরশীল। আমাদের দেশে এমন বহু পরিবার এখনও রয়েছে যারা দু বেলা খাবারের জন্য সরকারের দেওয়া রেশনের চাল, গম বা আটার উপর নির্ভরশীল। পুজোর উৎসবের মধ্যেই এই সমস্ত আর্থিকভাবে দুর্বল জনগণের জন্য কেন্দ্র সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার বৈঠক শেষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২৪ এর জুলাই থেকে ২০২৮ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে দেশবাসীকে স্ত্রীতে রেশনের সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষের সুবিধা হবে এ নিয়ে দ্বিমত নেই।
রেশনে দেওয়া হবে বিশেষ এই চাল
জানা গিয়েছে যে, এবার থেকে শুনে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফোর্টিফাইড চাল দেওয়া হবে। এই কাল মূলত মানুষের রক্তাল্পতা রোগ দূর করতে এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ১৭,০৮২ কোটি টাকা খরচ হবে। যার ১০০ শতাংশ অর্থায়ন করবে কেন্দ্র।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দু বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে পুরো দেশে চাল ফোর্টিফিকেশনের উদ্যোগ বাস্তবে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এই পর্যন্ত মোট তিনটি ধাপে এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
অ্যানিমিয়া দেশের একটি বড় সমস্যা
আপনাকে জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেশনে যে নতুন ধরনের চাল দেওয়া হবে তাতে অ্যানিমিয়া ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি কমবে। একই সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশনি বৈষ্ণব জানিয়েছেন ২০১৯ এবং ২০২১ সালের মধ্যে হওয়া ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ অনুযায়ী অ্যানিমিয়া এদেশের একটি অন্যতম বড় সমস্যা। এটি মূলত শিশু, মহিলা, পুরুষ সকলের মধ্যেই দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘর বানাতে দেবে সরকার, শুধু এই নতুন নিয়ম মানতে হবে
সবশেষে একটা কথা আমরা বলতে পারি যে, কেন্দ্র সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য যে ফ্রি রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি অবশ্যই দেশের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের খাদ্যের চাহিদা মেটাবে। সেই সাথে ফোর্টিফাইড নামের যে চাল দেওয়া হবে তাতে মানুষের শরীরে পুষ্টির অভাব দূর করবে।