২০১৯ এর আগে গ্যাস কানেকশন নেওয়া থাকলেই করতে হবে এই কাজ

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট উঠে এলো। মূলত যাদের ২০১৯ সালের আগে গ্যাস সিলিন্ডারের কানেকশন নেওয়া রয়েছে শুধু তাদেরকেই এই একটি কাজ সেরে নিতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে না করলে গ্যাস কানেকশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। 

ভারতের বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম কোম্পানি গুলি ইতিমধ্যে এই নিয়ে ক্যাম্পেন শুরু করে দিয়েছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্নার গ্যাসের স্টোভ এবং পাইপ পরীক্ষা করছে। আপনাকে প্রথমেই জানিয়ে দিই, গ্যাসের সাবসিডি নিয়ে কোন সমস্যা নেই। তবে কোন কাজটি না করলে গ্যাস কানেকশন বন্ধ হয়ে যাবে তা আজকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

ভারতীয় মূলত দুই ধরনের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়, একটি হচ্ছে ডোমেস্টিক অর্থাৎ বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহৃত এবং অন্যটি হচ্ছে ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার কাজের জন্য ডমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে আর এটা বন্ধ করতেই কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যে ই কেওয়াইসি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। 

গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এবং সাবসিডি

বর্তমানে ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৯০৩ টাকা। এক্ষেত্রে সাধারণ গ্রাহকদের কেন্দ্র সরকার ৪৮ টাকার সাবসিটি এবং উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের জন্য ৩০০ টাকা সাবসিটি দেয়। যার ফলে সাধারণ গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বর্তমানে ৮৫৫ টাকা এবং উজ্জলা যোজনার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫৫০ টাকা। 

গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহক বিশেষ করে যাদের কানেকশন ২০১৯ সালের আগে নেওয়া হয়েছে তাদেরকে ই-কেওয়াইসি করে নিতে বলেছে কেন্দ্র সরকার। এটা অনলাইনে অথবা গ্যাস সিলিন্ডার ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে গিয়ে খুব সহজে করা যাবে। এই কাজ না করলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর এর পর গ্যাস কানেকশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।  

বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করা হবে

ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন এলপিজি সিলিন্ডার প্রদানকারী সংস্থাগুলি রান্নার গ্যাসের স্টোভ এবং পাইপ গুলি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুনঃ ই-শ্রম কার্ডে মাসে ৩০০০ টাকা এই সময়ে পাওয়া যাবে, কিন্তু কখন?

আর এই কাজ করার জন্য গ্যাস এজেন্সির কর্মী গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে স্টোভ, পাইপ, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি চেক করবে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এগুলি তারা বদলেও দেবে। এই কাজটি মূলত ই-কেওয়াইসি করার পাশাপাশি একসাথে চলবে। তাই আপনিও যদি এলপিজি সিলিন্ডারের ই-কেওয়াইসি না করে থাকেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি কাজটি করে ফেলুন। 

Leave a Comment