ই-শ্রম কার্ডে মাসে ৩০০০ টাকা এই সময়ে পাওয়া যাবে, কিন্তু কখন?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কেন্দ্রীয় সরকার ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে একটি নতুন সুবিধা চালু করেছে। কর্মী এবং বেকার যুবকদের সমর্থন করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এই কার্ডের ধারকরা একটা সময়ে এসে 3,000 টাকার মাসিক পেনশন পাবেন। ই-শ্রম কার্ড কী, কারা যোগ্য এবং এটি যে সুবিধাগুলি অফার করে? তার বিস্তারিত এখানে রয়েছে।

ই-শ্রম কার্ড কী?

ই-শ্রম কার্ড একটি সরকারি উদ্যোগ যা বিশেষভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এরা এমন ব্যক্তি যাদের আয়ের স্থিতিশীল উৎস নেই। এই কার্ডের মাধ্যমে, সেই কর্মীরা পেনশন, দুর্ঘটনা বীমা, আবাসন সহায়তা এবং বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাও পেতে পারেন।

ই-শ্রম কার্ডের প্রধান সুবিধা

1. মাসিক পেনশন: 60 বছর বয়সে পৌঁছানোর পর, কার্ডধারীরা প্রতি মাসে ₹3,000 পেনশন পাবেন।

2. দুর্ঘটনা বীমা: যদি কোনও কার্ডধারী দুর্ঘটনায় মারা যায়, তবে তাঁর পরিবার ₹2 লক্ষ ক্ষতিপূরণ পাবে। আংশিক ক্ষতি হলে, ক্ষতিপূরণ পাবেন ₹1 লক্ষ।

3. আবাসন সহায়তা: যে সমস্ত শ্রমিকদের বাড়ির মালিকানা নেই তাঁরা তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য পেতে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

4. গর্ভবতী কর্মীদের জন্য সহায়তা: এই স্কিমে গর্ভবতী কর্মীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা তাঁদের গর্ভাবস্থায় কাজ করতে অক্ষম।

5. শিক্ষাগত সহায়তা: কার্ডধারীরা তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।

ই-শ্রম কার্ডের জন্য দরকারি যোগ্যতা

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ড পূরণ করতে হবে-

বয়স: আবেদনকারীদের বয়স 16 থেকে 59 বছরের মধ্যে হতে হবে।

পারিবারের ইনকাম: পরিবারে নিয়মিত ইনকাম অর্থাৎ আয়ের নির্দিষ্ট উৎস না থাকলে, তবেই ব্যক্তি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

মনে রাখবেন: যাঁরা আয়কর প্রদান করেন বা EPFO ​​(কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল সংস্থা) বা ESIC (কর্মচারীদের রাজ্য বীমা কর্পোরেশন) এর সদস্য, এই কার্ডের জন্য যোগ্য নন৷

ই-শ্রম কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আধার কার্ড
  • আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

কীভাবে আবেদন করতে হবে?

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করা সহজ। আগ্রহী ব্যক্তিরা আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে অফিশিয়াল ই-শ্রম পোর্টালে যেতে পারেন। প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদন করে নানান সুবিধা পেতে পারেন।

ধাপ 1 – ই-শ্রমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুলুন এবং Self-registration পেজে যান।

ধাপ 2 – আধার এবং ক্যাপচা কোডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর লিখুন এবং ‘Send Otp’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ 3 – OTP লিখুন এবং ‘যাচাই’ বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 4 – এখন আপনাকে স্ক্রিনে দেখানো তথ্য নিশ্চিত করতে হবে।

ধাপ 5 – পরবর্তী পেজে আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অন্যান্য তথ্য লিখতে হবে।

ধাপ 6 – এখন আপনার থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হবে। সমস্ত তথ্য পূরণ করার পরে, প্রিভিউতে ক্লিক করুন এবং ‘Submit’ করে দিন।

ধাপ 7 – এর পরে আপনার ফোনে একটি OTP পাঠানো হবে। OTP লিখুন এবং ‘Verify’ বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 8 – পরবর্তী পেজে আপনি ই-শ্রম কার্ড দেখতে পাবেন, আপনি ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এটি সেভ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ₹2000 নোটের পর এবার ₹200 নোটের গল্প শুরু, এবার কি সব বাতিল হবে?

ই-শ্রম কার্ড ভারতে অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুবিধা প্রদানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পেনশন, বীমা, আবাসন সহায়তা, এবং শিক্ষাগত সহায়তা সহ, এই স্কিমটির লক্ষ্য অনেক ব্যক্তির জীবন উন্নত করা, যারা প্রায়ই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন।

আপনি যদি যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করেন, তাহলে এই সুবিধাগুলির সুবিধা নিতে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার কথা ভাবতে পারেন।

Leave a Comment