এর আগে জোরপূর্বক ইলেকট্রিক স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসাতো বিদ্যুৎ কোম্পানি। কিন্তু এখন থেকে আর তা হবে না। এই সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য, কর্মকর্তারা এখন গ্রাম পরিদর্শন করবেন। স্মার্ট মিটারের সুবিধা ব্যাখ্যা করবেন এবং লোকেদের যে ভুল ধারণা আছে তা স্পষ্ট করবেন।
বিদ্যুৎ কোম্পানি স্বীকার করেছে যে, অতীতে মানুষ স্মার্ট মিটার বসানোর আগে এর সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেতেন না। এই প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে গ্রামে যাবেন এবং স্মার্ট মিটারগুলি কীভাবে কাজ করে এবং তারা যে সুবিধা দেয়, তা জানাবেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য আস্থা তৈরি করা এবং নিশ্চিত করা যে বাসিন্দারা প্রযুক্তিটি ইনস্টল করার আগে তার সঠিক ব্যবহার বুঝতে পারেন।
যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, তাঁদের জন্য সুযোগ
বয়স্ক বাসিন্দারা, যাদের স্মার্টফোন নেই তাঁদের সহায়তা করার জন্য, কোম্পানিটি একটি সহজ পরিকল্পনা করেছে। যাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাঁদের জন্য মিটার রিচার্জ করতে মিটার রিডাররা ঘরে ঘরে যাবে। উপরন্তু, সকল স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিতে রিচার্জ সুবিধাগুলি উপলব্ধ করা হবে, যাতে প্রত্যেকে সহজেই এই পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে।
আগে, সংস্থাটি প্রতিদিন প্রায় 4,000 মিটার স্থাপন করত, তবে সেই সংখ্যা এখন 2,000 থেকে 3,000-এর মধ্যে নেমে এসেছে। যাইহোক, কোম্পানিটি আশাবাদী যে এই গতি আবার বাড়বে কারণ আরও বেশি লোক স্মার্ট মিটারের সুবিধা সম্পর্কে জানবেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় স্মার্ট মিটার বসাবেন।
বর্তমানে, বিহারের পাটনা জেলার ফতুহা এবং নওবতপুরের মতো এলাকায় ইনস্টলেশনের কাজ ভালভাবে এগিয়ে চলেছে, যদিও বন্যাকবলিত অঞ্চলে চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গেছে। বিদ্যুৎ কোম্পানি বিশ্বাস করে যে এই সিদ্ধান্তটি বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দূর করবে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর মধ্যে সুখবর! বেকাররা মাসে ৫০০০ টাকা পাবে এই স্কিমে, কী কী কাগজ লাগবে দেখুন
সংক্ষেপে, বিহার বিদ্যুৎ কোম্পানি গ্রামীণ এলাকায় স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য আরও স্বচ্ছ এবং সহায়ক প্রক্রিয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষা এবং সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে, তারা রাজ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক দক্ষতার উন্নতি করার সাথে সাথে বাসিন্দাদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা এনে দেবে।