লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতোই। মহিলাদের পাশাপাশি এবার পুরুষরাও পাবেন মাসে ১০০০ টাকা। তাও আবার প্রতি মাসে। আগাগোড়াই নাগরিকদের সমর্থন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করেছে সরকার। পুজোর মরসুমেও তার অন্যথা হল না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষক ভাতা স্কিম নামে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য কৃষকদের আর্থিক ত্রাণ প্রদান করা। যারা প্রায়শই কৃষিতে কঠোর পরিশ্রম সত্ত্বেও জীবন সংগ্রাম করেই চলেন, তাঁদের জন্য এই স্কিম বিশেষ। এই প্রকল্পের অধীনে, যোগ্য কৃষকরা মাসিক 1,000 টাকা ভাতা পাবেন।
কারা টাকা পাবেন?
কৃষক ভাতা স্কিমের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য, আবেদনকারীদের অবশ্যই কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হবে-
1. বাসস্থান: আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে বা কমপক্ষে 10 বছর ধরে রাজ্যে বসবাস করতে হবে।
2. বয়স: আবেদনকারীর বয়স 60 বছরের বেশি হতে হবে। যাইহোক, তফসিলি জাতি (SC) এবং তফসিলি উপজাতির (ST) ক্ষেত্রে, ন্যূনতম বয়সসীমা 55।
3. জমির মালিকানা: আবেদনকারীরা সর্বোচ্চ 1 একর জমির মালিক হতে পারেন। খেমায়ুর নামে পরিচিত ভূমিহীন কৃষকরাও আবেদন করতে পারেন।
4. কোনও পূর্ববর্তী ভাতা নিলে চলবে না: আবেদনকারীরা যদি, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বা রাজ্য স্তরে অনুরূপ প্রকল্পের অধীনে অন্য কোনও সরকারি ভাতা পান, তাহলে আর আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদন প্রক্রিয়া
কৃষক ভাতা প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে অফলাইন। তবে কৃষকরা অনলাইনেও আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ফর্মটি পূরণ করার পরে, এটি স্থানীয় ব্লক কৃষি অফিসারের অফিসে বা মহকুমা অফিসে জমা দিতে হবে।
আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে, বেশ কয়েকটি নথি প্রয়োজন-
(১) আধার কার্ড বা রেশন কার্ড: পরিচয় এবং বাসস্থান যাচাই করতে।
(২) জমির মালিকানার প্রমাণ: জমির মালিকানার বিষয়ে যোগ্যতা নিশ্চিত করতে।
(৩) শারীরিক অক্ষমতা শংসাপত্র: যদি প্রযোজ্য হয়, যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য।
(৪) স্থানীয় এলাকার সার্টিফিকেট: বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণ যাচাই করতে।
(৫) নন-রিসিভ মানি সার্টিফিকেট: ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারী জারি করা এই নথিটি প্রমাণ করে যে আবেদনকারী অন্য স্কিম থেকে টাকা পাচ্ছেন না।
(৬) ব্যাঙ্ক পাসবুক: টাকা পাঠানোর জন্য।
(৭) সক্রিয় মোবাইল নম্বর: কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কোথাও যেতে হবেনা, বাড়িতেই আসবে এই গাড়ি
এই উদ্যোগটি পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নতির দিকে একটি অন্যতম পদক্ষেপ। কৃষিতে যাদের অবদান স্বীকার করে, তাঁরা প্রায়শই যে আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয় তা মোকাবেলা করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।