দোরগোড়ায় দুর্গা পুজো। অনেক মহিলারা বাড়ি থেকেই অর্থ উপার্জনের নতুন উপায় খুঁজছেন। এমনিতেই এই পুজো আসার আগে ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ সাধারণ মানুষ একটু ইনকামের আসায় আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামেও তাই হয়েছে। দশজন মহিলা হাতের তৈরি অলঙ্কার তৈরিতে ব্যস্ত৷ এই সমস্ত অলঙ্কার শুধু স্থানীয়ই থাকছে না। এগুলি বর্ধমান থেকে বীরভূম পর্যন্ত সমস্ত এলাকাতেই বিতরণ করা হচ্ছে। যা মহিলাদের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থ উপার্জনেও সহায় হচ্ছে।
রাজ্য সরকার নিজেই এই উদ্যোগকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে। সরকারের আসল লক্ষ্য হল নারী ও পুরুষ উভয়কেই স্বাবলম্বী করে তোলা। তাই এমনিতেও, মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করার জন্য, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালায় রাজ্য সরকার।
লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো একাধিক প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলারা মাসিক 1000 টাকা দিয়ে কিছু করার তাগিদ রাখেন। এছাড়াও নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রাজ্যেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রকল্পও রয়েছে। এই খাতে বিভিন্ন হস্তশিল্পের উপর জোর দেয় রাজ্য।
আর খড়গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীরই মহিলারা এই গয়না তৈরির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাজ শুরু করার জন্য সরকারের থেকে 20,000 টাকা ঋণ পেয়েছেন তাঁরা। এই গোষ্ঠীর মহিলারা অনন্য সমস্ত গহনা তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন।
তাঁরা, নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন ডিজাইন তৈরি করার দিকে ফোকাস করছেন। আপনিও স্বনির্ভর গোষ্ঠীরই মহিলা না হলেও, নিজের বাড়িতে বসেই কাজ শুরু করতে পারেন। গয়না তৈরি শেখার জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিন। সামান্য অর্থ দিয়ে উপাদান কিনে, নিজেই বানান গয়না। বিক্রি করুন ঘরে ঘরে।
আরও পড়ুন: চালু হচ্ছে লেডিজ স্পেশাল বাস, রাজ্যের এই ৩ টি রুটে চলবে
এই উদ্যোগে, শুধু সুন্দর গয়না তৈরিই যে শিখবেন তা কিন্তু নয়, সময়ে অসময়ে আর্থিক সুবিধাও পাবেন। তাও আবার নিজের তাগিদে। সামগ্রিকভাবে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক দিক থেকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার জন্য কীভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের হাত ধরে এগোনো যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ দিয়েছে এই গোষ্ঠীর মহিলারা।
এটা আরও প্রমাণ করে যে, স্থানীয় কারুশিল্প কীভাবে আর্থিক উন্নতি করতে পারে এবং সমৃদ্ধি আনতে পারে৷ তাহলে আপনি কেন দেরি করছেন?