আরজি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই। বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তার, নাগরিক গোষ্ঠী এবং ছাত্ররা ব্যাপক বিক্ষোভে সামিল। ভলান্টিয়ারদের নামে প্রচুর অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এখন আরও বাড়ছে। হাইলাইট করা হচ্ছে।
বিশেষত তরুণী চিকিৎসকের হত্যা মামলায় হাইলাইট করা সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য এগিয়েছে রাজ্য সরকার। নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে। কারণ, সঞ্জয় রাইয়ের কর্মকাণ্ড রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য ট্রেনিং
ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে, সিভিক ভলান্টিয়াররা যাতে নিজেদের দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার নতুন ট্রেনিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে নবান্ন।
শহর থেকে গ্রামীণ এলাকায়, সিভিক ভলান্টিয়ার যাঁরা যেখানেই কাজ করুক না কেন এই ট্রেনিং পাবেন। রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ তাঁদের ট্রেনিং দেবেন। নতুন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী 45 দিন স্থায়ী হবে এবং 2025 সালের জানুয়ারিতে শুরু হবে।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিং করানোর কারণ কী?
1) ট্রেনিংয়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিধি-বিধান কার্যকর করা এবং জরুরী পরিস্থিতি পরিচালনা সহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
2) সিভিক ভলান্টিয়ারদের, তাঁদের কাজে প্রায়শই ব্যবহৃত আইনি বিভাগগুলির বিস্তারিত পাঠও পড়ানো হবে।
3) এই ট্রেনিংয়ের লক্ষ্য তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁরা তাঁদের দায়িত্বের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত কিনা তা নিশ্চিত করা।
4) ট্রেনিংয়ে, বিক্ষোভের সময় কোনও আক্রমণ হলে, তার মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে তা শেখানো হবে।
আরও পড়ুনঃ ১ তারিখে আর মাইনে ঢুকবে না, বিরাট সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির তদারকি করার দায়িত্ব দিয়েছেন। উদ্দেশ্য হল সিভিল ভলান্টিয়ারদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের অবদান নিশ্চিত করাই ট্রেনিংয়ের লক্ষ্য।