এই ডিজিটাল বিশ্বে, মানুষ নিজেদের বেশিরভাগ কাজ ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই করছে। সিম কার্ড, ইন্টারনেট সংযোগ এবং অনলাইন সুবিধার কারণে মানুষের জন্য অনেক কাজ সহজ হয়ে উঠছে। তবে, সুযোগ-সুবিধা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমস্যাও বাড়ছে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার সময় কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন বা ফোনে উপস্থিত তথ্য চুরির মতো সমস্যা আসছে। গত কয়েক বছরে স্প্যাম কল, মেসেজ এবং অনলাইন প্রতারকদের সংখ্যাও ব্যপক বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি একটি উদ্যোগ নিয়েছে, যা অবশ্যই স্প্যাম রোধ করবে।
স্প্যাম এসএমএস এবং জালিয়াতি নিষিদ্ধ করা হবে
TRAI স্প্যাম নীতি সংশোধন করার পরে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তারা 1 সেপ্টেম্বর থেকেই স্প্যাম নিয়মগুলি কার্যকর করবে। এই বিষয়ে, TRAI ইতিমধ্যেই টেলিকম সংস্থাগুলিকে স্প্যাম মেসেজ কল নিষিদ্ধ করার কাজ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে থেকে সমস্যা সাময়িক সমস্যা হতে পারে
1 সেপ্টেম্বরের পর ভারতে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যা বাড়তে পারে। ব্যাঙ্ক ওটিপি এবং সাধারণ ওটিপি ফোনে নাও ঢুকতে পারে। এসএমএস আপনার কাছে পৌঁছানোর আগেই টেলিকম সংস্থাগুলি এটিকে ব্লক করে দেবে। TRAI বলেছে যে সাধারণ মানুষের ডেটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তাই এই বড় পদক্ষেপ করতে বাধ্য TRAI।
মানুষ চোখ বন্ধ করে ক্লিক করে
আসলে, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজেদের ফোনে মেসেজ এলেই চিন্তা না করে ক্লিক করে বসেন। এটি হ্যাকারদের অন্যতম কৌশল হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ডিভাইস থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য স্প্যামারদের কাছেও পৌঁছোতে পারে। তাঁরা বিপদেও পড়তে পারেন।
আরও পড়ুনঃ নতুন নিয়ম সরকারের, এখন এই কাজের জন্যও লাগবে আধার কার্ড
এই কারণেই TRAI টেলিকম সংস্থাগুলিকে ফোন নম্বর নিবন্ধন করতে বলেছে, যাতে জাল কল এবং এসএমএস রোধ করা যায়। 1 সেপ্টেম্বরের পরে, যদি এমন কোনও নম্বর থেকে একটি SMS করার চেষ্টা করা হয়, যা TRAI তালিকায় নিবন্ধিত নয়, এটি আপনার কাছে পৌঁছাবে না, এটি একটি স্প্যাম এসএমএস হিসাবে বিবেচিত এবং ব্লক করা যেতে পারে।