গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বড় নির্দেশ সরকারের! বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেই জানুন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আপনিও নিশ্চয়ই ইন্ডেন বা এইচপি কিংবা ভারত গ্যাস বা হিন্দুস্তান গ্যাস এজেন্সির গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন! ভর্তুকিও কি পাচ্ছেন! নাকি পাচ্ছেন না! এমনই গ্রাহকদের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। নির্দেশ না মানলেই বিপদের শেষ থাকবে না।

কম দামে গ্যাস সিলিন্ডার পেয়ে মানুষ স্বাচ্ছন্দে গ্যাস ব্যবহার করবে। এতে কাঠ ও কয়লার ব্যবহার কমবে। আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ভালো হবে। দরিদ্র মানুষ, যাঁরা এখনও কাঠ পোড়ান তাঁরাও এখন গ্যাস ব্যবহার করতে পারবেন। গ্যাস কম হওয়ায় রান্নার খরচ কমবে। এ কারণে অন্যান্য জিনিসের দামও কমতে পারে। এটি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। মানুষের কাছে খরচ করার জন্য আরও বেশি টাকা থাকবে, যা বাজারের চাহিদা বাড়াবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘরোয়া গ্যাসের দাম কমিয়ে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু হয়েছে হিতে বিপরীত।

দুই ধরনের গ্যাস সিলিন্ডার হয়। একটি ঘরোয়া অর্থাৎ ঘরে যে সিলিন্ডারটি ব্যবহার করবেন। দ্বিতীয়টি কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক। যেটা নিজের হোটেল বা রেঁস্তোরায় ব্যবহার করবেন। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য ঘরোয়া গ্যাসের দাম বেশ কম। আকাশচুম্বী দাম রয়েছে বাণিজ্যিকটির।

যদিও ঘরোয়া গ্যাসের ওজনও মাত্র 14.2 কেজি আর বাণিজ্যিক গ্যাস কিন্তু 19 কেজি। এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ খাবার ব্যবসায়ীরা সস্তার ঘরোয়া গ্যাস ব্যবহার করছেন। নিজেদের রোল, চাওমিনের দোকামে রমরমিয়ে সস্তার গ্যাস জ্বালাচ্ছেন। ভর্তুকি নিচ্ছেন। এতে করে ঘরোয়া গ্যাসে ঘাটতি পড়ছে। বাণিজ্যিকে গ্যাসের ব্যবসায় লস হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ টোটো চলাচলে এবার লাগাম লাগবে? ১৫ অগস্ট থেকে নতুন নিয়ম

গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে নতুন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার?

এমন পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৮ মাস ধরেই চলছে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া। যাঁরা করছেন না, তাঁদের ডিস্ট্রিবিউটররাই ডেকে এনে আধারের সঙ্গে গ্যাস সংযোগ লিঙ্ক করাচ্ছেন। যাতে ভুয়ো গ্রাহকদের হাতে নাতে ধরা যায়। তবে, যাঁরা ভর্তুকি পান না তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য না দিলেও চলবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভর্তুকি সংক্রান্ত গিভ আপ ফর্ম ফিলাপ করে নিলেই হবে। কড়া নির্দেশ দিয়ে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক বলেছে যে সরকারি নির্দেশ না মেনে যদি আবার ব্যবসায় ঘরোয়া গ্যাসের খোঁজ মেলে তাহলে ডিস্ট্রিবিউটরই বিপাকে পড়বেন। দেরি করবেন না। ঝামেলা এড়াতে শীঘ্রই ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে দিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে আসুন। এটাই সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া। তবে হাতে সময় কম থাকলে, নিজের গ্যাস সংযোগ সংস্থার নির্দিষ্ট অ্যাপ থেকেও কাজটি ঘরে বসে বায়োমেট্রিক যাচাই করিয়ে নিতে পারেন।

Leave a Comment