বরাদ্দ অনুযায়ী রেশন না দিলে মেশিন কাজই করবে না। এমনকি বিলও বেরোবে না। আবার রেশন দিয়ে দিয়ে রেশন ডিলারের মজুত কতটা কমছে, সে দিকেও নজর দিতে পারবে দফতর। সেই জন্যে রেশন দোকানের নতুন মেশিন।
রেশন পরিষেবা ব্যবস্থায়, কারচুপি রুখতে এক বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্রের ব্যবহার করছে রাজ্য খাদ্য দফতর। পাইলট প্রকল্পের কাছ শেষ হলেই, ধাপে ধাপে প্রতিটি রেশন দোকানে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে এই বিশেষ মেশিন।
সঠিক রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত রেশন পান না অনেকেই। দৌড়ে দৌড়ে চলে রেশন দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়।
দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতারও হয়েছেন। সব মিলিয়ে জঘন্য অভিযোগের আঙুল উঠছে রাজ্য সরকারের দিকে। তাই এবার কালিমা মেটাতে রেশন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে চায় রাজ্য। ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে খাদ্য দফতরে।
কীভাবে কাজ করবে এই মেশিন?
এতদিন ই-পস বা বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতেন গ্রাহকেরা। এ বার এর সঙ্গেই জুড়বে বৈদ্যুতিন এই ওজন যন্ত্র। কারণ, ই-পস ব্যবস্থা চালু থাকা সত্ত্বেও অনেক জায়গার গ্রাহকেরাই কম রেশন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছিল। তাই এবার ওজন যন্ত্রটি ই-পসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। জালিয়াতির হারও কমবে।
আরো পড়ুনঃ আম্বানির ছোটো ছেলের বিয়ে, তাই ৩ মাসের ফ্রি রিচার্জ দিচ্ছে জিও?
দফতরের এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাতে কোনও অভিযোগ আর না ওঠে, তার জন্য সব পদ্ধতি অনলাইন করে নেওয়া হবে। রেশন দোকানের উপর কড়া নজর রাখা হবে। এই ব্যবস্থায় ইতিমধ্যে 20 লক্ষ মানুষ যুক্ত হয়েছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।