আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সরকার আগামী তিন বছরে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করে বাড়িয়ে দিতে পারে।৭০ বছরের বেশি বয়সী সকলকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই প্রকল্পের বিষয়ে বর্তমানে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ২০২৪-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে বিমার পরিমাণ বছরে ১০ লক্ষ টাকা করতে পারে কেন্দ্র, স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে বীমার অর্থের পরিমাণ বাড়বে ও এর জন্য সরকারি কোষাগারে নির্ধারণ করা অর্থের পরিমাণও বাড়বে।
উল্লেখ্য, জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, এই প্রস্তাবের জন্য সরকারি কোষাগারের জন্য বছরে ১২,০৭৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাবে।
সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে যে, আগামী তিন বছরে এবি-পিএমজেএওয়াই-এর অধীনে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, এই আলোচনা বাস্তবে রূপায়িত হলে দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতার মধ্যে চলে আসবে।
এই স্বাস্থ্য বীমার কভারেজের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী বাজেট ২০২৪-এ, সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে ১২ কোটি পরিবারকে সেকেন্ডারি ও পরবর্তী ধাপের হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রতি বছর পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ৭,২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছেন সে কথা বলাই বাহুল্য।
এছাড়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর জন্য ও উন্নত করবার জন্য কেন্দ্র আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের জন্য ৬৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
আরো পড়ুনঃ গরমের ছুটি তো শেষ হলো, এবার এইভাবে স্কুল মাস্টাররা শায়েস্তা হবে
২০২১ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন ‘ভারতের মিসিং মিডলের জন্য স্বাস্থ্য বীমা’ – এ এই প্রকল্পটি সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছিলো যে,দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য বীমা থেকে বঞ্চিত আছেন এখনও। সকলে যাতে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থাকেন সেই কারণে এবি-পিএমজেএওয়াই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও রাজ্য সরকারের সম্প্রসারণ প্রকল্পগুলি জনসংখ্যার নীচের ৫০ শতাংশকে ব্যাপক হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে কভারেজ প্রদান করে।
জনসংখ্যার মধ্যে বাকি ২০ শতাংশ সামাজিক স্বাস্থ্য বিমা প্রাথমিকভাবে উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তারা সকলে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্য বিমার আওতাধীন আর এছাড়া অনুপস্থিত মধ্যবিত্তরা মূলত গ্রামাঞ্চলে স্ব-কর্মসংস্থান, ইনফর্মাল ও শহরাঞ্চলে ইনফর্মাল, সেমি ফর্মাল ও আনুষ্ঠানিক পেশার সাথে যুক্ত।