ঘরহীন মানুষকে ঘর বেঁধে দিতে উদ্যোগী কেন্দ্র। তাই এবার সরকারি ব্যাঙ্ক বিক্রি করেই এগোবে সরকার। সবেমাত্র আবাস যোজনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে 3 কোটি করা হয়েছে। এমন সময় বরাদ্দ টাকাও বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু রাজকোষে অতটা টাকা নেই। এদিকে জানা গিয়েছে, 50% অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তাই সেই টাকার সংস্থানের জন্য এখন থেকেই ব্যাঙ্ক বিক্রির উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে।
আপাতত মাত্র 12টি ব্যাঙ্ক রয়েছে সরকারের জিম্মায়। আগে ছিল 27 খানা। 2017 সালের পর থেকে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই 12 সংখ্যাও আর রাখবে না কেন্দ্র। ব্যাঙ্ক ভালো মুনাফা করলেই বাজিমাত হবে।
মাত্র 4টি ব্যাঙ্ক নিজের হাতে রেখে সব বেচে দেবে ঠিক করেছে। তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন হয়ে পুনরায় ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করতে, ইতিমধ্যে নীতি আয়োগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থমন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছে এনডিএ সরকার।
তাহলে এবার সংযুক্তিকরণ নাকি পুরোটাই বেসরকারিকরণ?
এই সিদ্ধান্ত নিতে স্টেটাস রিপোর্ট তৈরি করবে কেন্দ্র। যদিও মনে হচ্ছে, সংযুক্তিকরণের দিকে আর হাঁটবে না এখন। বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই বিক্রি করে দেওয়া হবে। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ পর্ব শুরু হয়ে যাবে কিছু মাসের মধ্যে। তিনটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই, দরপত্র জমা দিয়ে দিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ৮০০ টাকা ছেলে-মেয়েদের ঢুকতে শুরু করল, আপনি পাবেন কী এইভাবে চেক করুন
মুনাফা করেছে যে ব্যাঙ্ক, সেগুলোই বিক্রি হবে
অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত 3 আর্থিক বছরে বহু ব্যাঙ্ক আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই যে ব্যাঙ্কগুলির 95 শতাংশের বেশি অংশীদারিত্ব সরকারের কাছে, সেগুলি বেসরকারিকরণ করতে পারে সরকার। এইমুহূর্তে প্রায় প্রতিটি সরকারি ব্যাঙ্কই আর্থিকভাবে শক্তপোক্ত। তাই এই ব্যাঙ্কগুলো বেসরকারিকরণ হলে ভরে যাবে রাজকোষ। আমজনতাকে বড় বড় পরিষেবা দিতেও অসুবিধা হবে না।