মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনকল্যাণে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করে ছিলেন, এই রকমই একটি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প তিনি চালু করেছেন, সেই প্রকল্পের নাম হলো সমুদ্র সাথী প্রকল্প।
২০২১ সালে এই প্রকল্প শুরু করার আগে মমতা ব্যানার্জীর আরেক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়ে ছিলো। তবে শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডারই নয়,রাজ্যের কন্যা সন্তানদের মঙ্গলার্থে শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রীর মতো একাধিক জনহিতকর প্রকল্প তিনি চালু করেছিলেন।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে মেয়েদের ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ২৫ হাজার করে ঢুকে যায়, এই প্রকল্প এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, এই প্রকল্পের জন্য তিনি বিদেশের মাটিতে পুরস্কারও পান। সেই রকমই তার চালু করা একটি নতুন প্রকল্প হলো সমুদ্র সাথী প্রকল্প।
এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের টাকা দেওয়া হবে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। প্রতি বছর এই স্কিমে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মৎস্য জীবীরা টাকা পাবেন, মে ও জুন মাস এই দুটি মাস ধরে আবেদনকারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, সারা বছরের মধ্যে বিশেষ এই মে, জুন মাসেই কেন টাকা প্রদান করছে সরকার? এই দুই মাসে টাকা দেওয়া হচ্ছে তার পিছনে মূল কারণ হলো মে ও জুন মাসে আবহাওয়া ভালো থাকে না, ফলে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রতটেও যেতে পারেন না। তাই সমুদ্র উপকূলে যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় মৎস্যজীবীদের বিশেষ সমস্যা তৈরি হয়। তাই এইসব ক্ষেত্রে জীবিকা নির্ধারণের সময় তাদের বিশেষ অসুবিধা তৈরি হয়।
এই দুই মাস তারা যাতে আর্থিকভাবে ভেঙে না পড়ে, সেই কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে, অর্থাৎ তারা বছরে ১০ হাজার টাকা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছেন, রাজ্যের বাজেট পেশ করবার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সমুদ্রসাথী স্কিম বাবদ বরাদ্দ টাকা পরে বাড়ানো যেতে পারে বলেও বলেছেন।
সমুদ্র সাথী প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে মানদন্ড কী?
১) এক্ষেত্রে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারীদের অবশ্যই পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই তিনটি জেলার মৎস্যজীবী এবং স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
৩) একজন আবেদনকারীর নূন্যতম বয়স ২১ বছর হতে হবে।
আবেদন করার জন্য কী কী ডকুমেন্টস লাগবে?
একজন আবেদনকারীকে আবেদন করতে হলে তেমন বিশেষ কিছু ডকুমেন্ট লাগবে না। এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নির্ভুল ভাবে ফিল আপ করা আবেদন পত্র,আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য ও মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা মৎস্যজীবী হিসাবে আপনার পরিচয় পত্র লাগবে।