রাজ্যে রেশন বিতরণ মামলা অব্যাহত। বহু কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে। তাই এবার রেশন কার্ড নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস। ভুয়ো রেশন কার্ডের সমস্ত তথ্য ইডিকে পাঠালো রাজ্য। মনে করা হচ্ছে এই কারনে রাজ্যের লাখ লাখ রেশন কার্ড বাতিল হতে চলেছে।
আসলে, এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ গত কয়েক বছর ধরে বাতিল করা রেশন কার্ডের বিবরণ জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তাদের।
প্রত্যেক রেশন দোকানেই রেশন দুর্নীতি
কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্য সরকারের বাতিল করা ‘জাল’ কার্ডগুলির বিশদ জানতে চেয়েছিল। কারণ তাদের কথিত রেশন বিতরণ কেলেঙ্কারির শিকড় রয়েছে। ইডি নিশ্চিত করতে চায় যে এই নিষ্ক্রিয় কার্ডগুলির অধীনে খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে কিনা।
সূত্র জানিয়েছে যে, রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর ন্যায্য মূল্যের দোকানে বাতিল হওয়া জাল কার্ডগুলি সেই দোকানের সাথে সংযুক্ত মোট কার্ডের 10-15 শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় প্রত্যেক রেশন দোকান থেকেই ভুয়ো রেশন কার্ড শনাক্ত করা হয়েছিল।
ইডি-র প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, দুটি উত্স থেকে জাল রেশন কার্ড তৈরি করা হয়েছিল-
প্রথমত, মৃত ব্যক্তিদের কার্ড, পরিবারের সদস্যরা সমর্পণ না করেই, সেই কার্ড দেখিয়ে রেশন তুলত।
দ্বিতীয়ত, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে ব্যক্তিদের রেশন কার্ড স্থানান্তর করা হত না। সেই রেশন কার্ডেও দুর্নীতি হত।
কীভাবে রেশনে ঘাপলা কত?
ভুয়ো রেশন কার্ডের সংখ্যা দেখেই রাজ্য না বুঝে, ধান ও গমের কল থেকে, চাল ও আটা স্থানীয় এলাকার রেশন দোকানে পাঠিয়ে দিত।
স্বাভাবিকভাবেই, অতিরিক্ত পরিমাণ চাল ও আটা মিল থেকে বেরিয়ে ফিরে আসত মিলগুলিতে। এবার সহজেই নতুন আটার সঙ্গে নিম্নমানের আটা মিশিয়ে ফের সেগুলো আসত রেশন দোকানে।
মূলত, যাঁরা এক স্থান ছেড়ে অন্য স্থানে চলে যেতেন।।তাঁদের কার্ড ট্রান্সফার না করিয়ে এইভাবেই রমরমিয়ে চলত রেশন দুর্নীতি।
আরো পড়ুনঃ জুলাই মাসের রেশন লিস্ট, ছোটো কার্ডে এবার এইসব মিলবে
এই সব কাণ্ড কারখানা দেখে কয়েক মাস আগে ED , রাজ্য সরকারকে 2012 সালের পর থেকে রাজ্যের কাছ থেকে ভুয়ো রেশন কার্ডের সন্ধান চেয়েছিল। কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছিল, তা জানতে চেয়েছিল ED। এবার উত্তর দিল রাজ্য সরকার। এবার ইডিকে দেওয়া রাজ্যের এই চার্জশিট কতটা তদন্তে সাহায্য করবে এটাই দেখার।