বদলি নীতি নিয়ে এইবার নড়েচড়ে বসলো রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। হ্যাঁ,পঞ্চায়েত দপ্তরে কর্মরত কোনও কর্মীই তিন বছরের বেশি একই গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকতে পারবেন না, এই নীতি এইবার কার্যকর করতে হবে। যারা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছেন, তাদের দ্রুত বদলি করা হবে।
একটি বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলা শাসকদের কাছে নির্দেশ পৌঁছাচ্ছে। একই সাথে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কারা একই জায়গা রয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত বদলির নির্দেশ কার্যকরী করার কথা বলা হয়েছে জেলা শাসকদের।
পুরো পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ভেতর থেকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই এই সিদ্ধান্ত। মুর্শিদাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির এক আধিকারিককে দুর্নীতি করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়াও নানা পঞ্চায়েতের একাংশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।
এমনকি দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর একই জায়গায় পোস্টিং থাকার ফলে অনেক কর্মী নিয়মিত অফিস যান না বলেও শোনা যায়।
একই সাথে প্রশাসন মনে করছেন যে, দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার ফলে পঞ্চায়েতের কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের মধ্যে অনেক সময় একটা অশুভসন্ধি গড়ে ওঠে যার প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর,এর ফলে বহু সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রাজ্যে এখন ৩৩২টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩ হাজার ৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। এছাড়া আবাস, একশো দিনের কাজ-সহ নানা প্রকল্প কার্যকর করবার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই ক্ষেত্রে বদলি নীতি চালু হলে পঞ্চায়েতের কাজের ক্ষেত্রে যেমন একটা ইতিবাচক দ্রুতগতি আসবে ঠিক একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতের সদস্যের সাথে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের অশুভ যোগ সাজেশ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমবে যাতে লাভবান হবেন সাধারণ মানুষ, কোনরকম দুর্নীতি ছাড়াই তারা পঞ্চায়েতের নানান রকম সুবিধা যেন সুফল গুলি ভোগ করতে পারবেন।