2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। একই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে, এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হয়েছিল।
2024 লোকসভা নির্বাচনের আগে, প্রকল্পের অধীনে প্রদেয় পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের দুই কোটি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী। এমন অবস্থায় যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়! সম্প্রতি, এমনই কিছু খবর সামনে আসছে যে, সে বিষয়ে জানলে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে যাবে মা বোনেদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডারে প্রদেয় পরিমাণ 1 এপ্রিল থেকে বাড়িয়েছেন। সেই স্কিমে, সাধারণ সম্প্রদায়ের নথিভুক্ত এখন আর মহিলারা 500 টাকা না তাঁর দ্বিগুণ অর্থ অর্থাৎ 1000 টাকা পান।
তেমনই, তফসিলি জাতি (SC) এবং উপজাতির (ST) মহিলারা 1000 টাকা করে পান না, এখন তাঁরা পাচ্ছেন 1200 টাকা। লোকসভা নির্বাচনের সময় ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ থাকার কারণে প্রকল্পের বিতরণে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও করেছে রাজ্য সরকার।
লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হচ্ছে বলে কী ঘটনা হয়েছে?
সবই ঠিক চলছিল কিন্তু গোলযোগ বাঁধল অন্য স্থানে। মূলত লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর কাছে তৃণমূলের পরাজয়ের পর থেকেই কাঁথির অন্তর্গত খেজুরি বিধানসভায় তৃণমূল কর্মীদের উপরে বিজেপির অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ উঠছে, যদিও তৃণমূল এই কথা অস্বীকার করেছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা যাতে এই অত্যাচারীরা না পান। তা নিয়েও কথা বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে হামলার শিকার যাঁরা, তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে ক্ষতি নেই বলেও জানানো হয়েছে। এমন অবস্থায় কী হবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভবিষ্যৎ?
আরো পড়ুন: কৃষক বন্ধুর টাকা ১৮ জুন তারিখে অনেকের ঢুকেছে, আপনি পেলেন কিনা এইভাবে দেখুন
লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ নিয়ে কী বলেছেন অভিষেক ব্যানার্জি?
এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। যে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে কিনা। তবে ভোটের আগেও অভিষেক ব্যানার্জি এ ক্ষেত্রে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যে বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়। বিজেপি নেতারা এলে জিজ্ঞেস করুন।
আমি আছি, দেখি কে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে। যতদিন তৃণমূল সরকার থাকবে ততদিন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী কেউই লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবেন না।