প্রধানমন্ত্রী জনধন অ্যাকাউন্টের নাম তো শুনেছেন। এই অ্যাকাউন্ট থাকলে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই লোন পাবেন। এটিএম কার্ড অর্থাৎ ডেবিট কার্ডে অতিরিক্ত চার্জও কাটা হবে না। এমনই মোট 12টি সেরা সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র। এত জন্য আবেদন করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায়। খুলতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
2024 সালের 5 জুন পর্যন্ত 52.39 কোটি মানুষ অ্যাকাউন্টগুলিতে মোট 22,68,14,67,00,000 টাকা জমা করেছেন। আপনিও পারবেন, নিম্নলিখিত শর্ত মানলে।
প্রধানমন্ত্রী জনধন স্কিমের সুবিধাগুলি কী কী?
1) আমানতের উপর সুদ।
2) এক লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা।
3) ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখার প্রয়োজন নেই, তবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে RuPay কার্ডের মাধ্যমে ATM থেকে টাকা তুলতে অ্যাকাউন্টে কিছু ব্যালেন্স বজায় রাখবেন।
4) 30,000 টাকার জীবন বীমা।
5) ভারতের যে কোনও জায়গায় সহজেই টাকা পাঠানোর সুবিধা।
6) সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর পাবেন।
7) ছয় মাস ধরে এই অ্যাকাউন্টগুলির সন্তোষজনকভাবে ব্যবহার করার পরে ওভারড্রাফ্ট সুবিধা প্রদান করা হবে।
8) বীমার পাশাপাশি পেনশন সুবিধা।
9) ডেবিট কার্ডটি 45 দিনে অন্তত একবার ব্যবহার করতে হবে।
10) প্রতিটি পরিবারের একটি অ্যাকাউন্টে, বিশেষ করে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে 5000 টাকার ওভারড্রাফ্ট সুবিধা প্রদান করা হবে।
11) অ্যাকাউন্ট থাকা টাকার উপর ভিত্তি করে লোন দেওয়া যায়।
12) প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার অ্যাকাউন্ট থাকলে ডেবিট কার্ডের জন্য কোনও চার্জ লাগে না।
চেকবুক প্রদান করা হবে?
প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনায় অ্যাকাউন্টটি জিরো ব্যালেন্সে খোলা হচ্ছে। তাই যদি অ্যাকাউন্টধারী একটি চেক বই চান তবে তাঁকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্সের নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ২, ১ লাখ না! এই ব্যাঙ্ককে ১.৪৫ কোটি টাকা জরিমানা করল RBI
জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন?
1) যদি আধার কার্ড/আধার নম্বর থাকে তাহলে অন্য কোনও নথির প্রয়োজন নেই।
2) যদি আপনার ঠিকানা পরিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ যথেষ্ট।
3) যদি আধার কার্ড না থাকে, তবে ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট এবং এনআরইজিএ কার্ডের মতো সরকারিভাবে বৈধ নথিগুলির যে কোনও একটির প্রয়োজন হবে।
4) যদি এই নথিগুলিতে আপনার ঠিকানাও থাকে তবে এটি পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে কাজ করবে।