পশ্চিমবঙ্গে গরমের ছুটি শেষ হয়েছে মাত্র ২ দিন হলো, এর মধ্যেই আবারো শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে নতুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। স্কুলগুলোতে কি আবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হবে? রাজ্যের শিক্ষা দফতর একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে যা যা জানিয়েছে, তা আজকের প্রতিবেদনেই আমরা জানাবো।
এত গরম পড়েছে যে দিনরাত ঘামছে মানুষ। বেশ কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমলেও জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দাবদাহ বেড়ে গিয়েছে। যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নির্দেশে কথা মতো 10 জুন প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল খুলেছে।
দক্ষিণবঙ্গে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার 22 এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করেছিল। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের অস্বস্তি বাড়ছে। উত্তরাঞ্চলেও একই অবস্থা। সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম, অস্বস্তি চরমে। এ অবস্থায় গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হওয়ায় অভিভাবকদের মাথায় আবার হাত। ছাত্রছাত্রীদের খুব কষ্ট করে স্কুল যেতে হচ্ছে।
স্বভাবতই আবারও স্কুল ছুটি দেওয়ার বা স্কুলের সময় পরিবর্তন করে সকালে স্কুল করানোর দাবি উঠেছে। বুধবার যথারীতি স্কুল খুলেছে। গরমের কারণে সোমবার বিদ্যালয়ে এসে অনেকেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আগামী দিনেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। আর এ অবস্থায় অনেক অভিভাবকরাই সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না।
আরো পড়ুনঃ আবারো প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী! এবার রান্নার গ্যাস নিয়ে বড়সড় প্ল্যান সরকারের
পরিস্থিতি মাথায় রেখে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শিক্ষা দফতর? কারণ আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই এমন গরমের কঠিন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে।
কী বলা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়?
রাজ্যের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জুন মাসের গরমের দিনগুলিতে স্কুলের সময় সূচী পরিবর্তন করতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও আঞ্চলিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই স্কুলগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোথায়, কত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহের কেমন পরিস্থিতি চলছে, সবটা বুঝেই যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। আপাতত স্কুল ছুটি দেওয়া যাবে না।
