লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সব খালি হয়ে গেল! এমন ঘটনা যেন আর কারো সাথে না ঘটে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

2024 সাল আসার আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য মাসে মাসে 500 টাকাই বরাদ্দ করেছিলেন মমতা সরকার। অনেক মহিলাই সে টাকা কয়েক বছর ধরে জমিয়ে গয়না গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন সেই টাকা 1000 টাকা হয়ে গিয়েছে।

মমতা ব্যানার্জির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প, বাংলার মা বোনেদের ভাণ্ডার ভরাচ্ছে। কিন্তু এই টাকা জমানোর সুখটা সইল না বাংলারই এক লক্ষ্মীর কপালে। বাড়ি বয়ে অলক্ষী এসে খালি করে দিয়ে গেল ভাণ্ডার। ব্যাপারটা কী ঘটেছে?

‘এসে দেখি সব তালা ভাঙা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যে পয়সা ছিল তাও নিয়ে চলে গিয়েছে। গত তিন বছর ধরে ৫০০ টাকা করে জমানো। ভাঙা সেগুলি। আমার কিছু গয়না, নগদ প্রায় ১ লক্ষ টাকা উধাও। আমি ব্যাঙ্কে কাজ করি সিএসপি হিসাবে। একটা টাকা নেই।’

এমন সর্বনাশের খপ্পরে পড়েছেন ঝুমুর দাস। হুগলির হিন্দমোটর বিবিডি রোডের বাসিন্দা ঝুমুর, দুর্গাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিলেন। আচমকাই ফোন এসে বলেছিল, ঘরের তালাটা কারা যেন ভেঙে গিয়েছে।

এদিনের ঘটনাটা পুরো ব্যক্ত করতে গিয়ে ঝুমুর বলেন যে ’27 তারিখ নিমন্ত্রণ ছিল তাঁদের। তাই 26 তারিখ চলে গিয়েছিলেন। 29 তারিখ জামাইবাবু এসেছিলেন। তিনিই প্রথম এসে দেখেছিলেন যে বাড়ির বাইরের চাবি খোলা। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ডাকাডাকি করেন কোনও সাড়া না পেয়ে ফোন করেছিলেন। এরপরই পড়ি কি মরি করে দুর্গাপুর থেকে ছুটে আসেন মহিলা। বাকিটা ইতিহাস।

আরো পড়ুনঃ টাকা নিয়ে রেডি আছে কেন্দ্র সরকার, আবেদন করলেই ৫০ হাজার টাকা পাবেন

পরে ঝুমুর জানিয়েছেন, 1 লাখ নয়। ছিল দেড় লাখ টাকা। তিন বছর ধরে শুধু পাঁচশো টাকার নোট জমিয়েছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। আলমারিতে ছিল আরও প্রায় এক লক্ষ টাকা ও লক্ষাধিক টাকার গয়না। সবমিলিয়ে দেড় লাখ টাকা। সবই নাকি নিয়ে গিয়েছে।

খুব সম্ভবত, ওই জমানো টাকাগুলো 12 মাসে পাওয়া 500 করে টাকারই অংশ ছিল। যদিও সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। এমন মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত আপাতত শুরু করেছে পুলিশ। সময় বলবে, সত্যিটা কী।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment