এসএসসি মামলার রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল হয়েছে ২৫,০০০ এর বেশি চাকরি। ওই দিকে 5 লক্ষ OBC সার্টফিকেটও বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যে এখন সরকারি নিয়ে ব্যাপক ডামাডোল। গত তিন বছরে এই মামলায় কত নাম এসেছে তার কোনো হিসেব নেই রাজ্যের মানুষদের। অনেক নতুন চরিত্র এসেছে। কত পুরনো চরিত্র নতুন মোড় নিয়ে হাজির। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বহু মামলার শুনানি হয়েছে।
এসএসসি মামলা নিয়ে অনেক মোচড় ও মোড় প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও কয়েক হাজার প্রার্থী এখনও চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন, আবার অনেকে আছেন যারা পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই চাকরি পেয়েছেন। আর এবার তারই পরিণাম ভুগতে হল এক শিক্ষাকর্মীকে। টানা ১৪ বছর চাকরি করেও হারিয়ে বসলেন চাকরি।
১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জামবনি ব্লকের দুবড়া আদর্শ বিদ্যামন্দিরে চতুর্থ শ্রেণির মেট্রন পদে চাকরি পেয়েছিলেন সুতপা হাটই। কিন্তু তাঁর এই চাকরি ছিল অবৈধভাবে পাওয়া। এরপর ২০১১ সালে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সুতপার জাতিগত শংসাপত্র শংসাপত্র (SC সার্টিফিকেট) বাতিল করেন ঝাড়গ্রামের তৎকালীন মহকুমাশাসক।
এরপর অতিরিক্ত জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই বছরেই জুন মাসে সুতপার বেতন বন্ধ করে দেন। পাল্টা জাতিগত শংসাপত্র বৈধ দাবি করে হাই কোর্টে পৌঁছেছিলেন সুতপা। তাই ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চও সুতপার উপর প্রশাসনিক পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছে। বেতন বাবদ প্রাপ্ত টাকা সুতপাকে ফেরত দিতে না হলেও চাকরি করতে পারবেন না তিনি।
আরো পড়ুনঃ ২ বা ৩ জুন না! স্কুল খুলবে এত তারিখে, শিক্ষা দপ্তর থেকে নতুন আপডেট
বিপক্ষে রায় দেখে ওই শিক্ষাকর্মীর দাবি তিনি চক্রান্তের শিকার। সবটা শুনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, সুতপার নিয়োগ হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে। তাই এ বিষয়ে পর্ষদই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও সুতপা বলে দিয়েছেন, ন্যায় বিচারের জন্য তিনি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করবেন।
উল্লেখ্য, OBC সার্টফিকেট বাতিলের পর আদালত বলেছিল যে যাঁরা এই সার্টফিকেট ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি যাবে না! কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি ভুয়ো জাত শংসাপত্র ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন। কোনও ব্যক্তির কাছে এ ধরনের তথ্য থাকলে, প্রতারণা সংঘটিত হওয়ার পর এবং চাকরিতে থাকাকালীন যতই সময় অতিবাহিত হোক না কেন, সবটা সামনে এলে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করা হয় ওই ব্যক্তির। যেখানে শুধু বর্তমান চাকরিই হারাবে না, এটা সত্য প্রমাণিত হলে সারাজীবনের সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।