রাতারাতি লাখপতি বা কোটিপতি হতে অনেককেই দেখা যায়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নানান ধরনের অনলাইন লটারির হাত ধরে অনেকেরই ভাগ্যের চাকা হঠাৎই সম্পূর্ণ ঘুরে যায়। কিন্তু তা বলে এক রাতের মধ্যে কাউকে ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক হতে শুনেছেন? ঠিক এমনটাই ঘটেছে ছাপোষা কৃষক ভানু প্রসাদের সঙ্গে।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির কৃষক ভানু প্রসাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাতারাতি ৯৯,৯৯,৯৪,৯৫,৯৯৯.৯৯ (৯৯০০ কোটি) টাকা ক্রেডিট হয়। যার সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থা সে কী করে এত টাকার মালিক হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক।
বিষয়টি সম্বন্ধে ভানু প্রসাদ নিজেও তেমন কিছু জানতেন না। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে এই পরিমাণ টাকা দেখে তাঁর রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। সত্যি বলতে কী, ভানু প্রসাদের মত আপনাদের অনেকেও এটা আসলে ঠিক কত টাকা তা একবারে বুঝে উঠতে পারবেন না। ফলে বুঝতেই পারছেন ওই দরিদ্র কৃষকের মানসিক অবস্থা ঠিক তখন কেমন ছিল?
তবে গরিব হলেও ভানু প্রসাদ সৎ মানুষ। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে তিনি দ্রুত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। উল্লেখ্য ভানুপ্রসাদের এটা সেভিংস অ্যাকাউন্টও নয়। দরিদ্র কৃষক হিসেবে তিনি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পেয়েছিলেন। সেই কৃষি ঋণ সংক্রান্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে।
আরো পড়ুনঃ মা-বোনেরা 8,500 টাকা প্রতি মাসে পাবেন! কবে থেকে শুরু হবে জেনে রাখুন
এদিকে এই কৃষকের থেকে বিষয়টা জানতে পেরে চমকে ওঠে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও। তারপর তারা সবকিছু খতিয়ে দেখে জানায়, সম্ভবত ব্যাঙ্কের সার্ভারের প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা টেকনিক্যাল গ্লিচের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভুল করে ওই কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এতগুলো টাকা চলে গিয়েছে।
বর্তমানে নিয়ম মেনে ওই টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার শুরু করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে যাতে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় না হয় তার জন্য ভানু প্রসাদের অ্যাকাউন্টটাই আপাতত ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ১০ হাজার কোটি তো দূরের কথা, নিজের প্রয়োজনীয় কাজেও ওই অ্যাকাউন্টটা ব্যবহার করতে পারছেন না উত্তরপ্রদেশের এই দরিদ্র কৃষক।
আরো পড়ুনঃ ৩০ বছর চাকরি করেও শান্তি নেই! ২৭ মে এর মধ্যে এই কাগজ জমা দিতে হবে
এই বিপুল টাকার মালিক হয়েও তার এক ছটাকও পাবেন না ভানু। নিয়তি বড়ই নিষ্ঠুর!