বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাসে মাত্র ১০০ টাকা বরাদ্দ বাড়বে বাংলার মহিলাদের? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নম্বর টু’ অমিত শাহ সম্প্রতি ভোট প্রচারে বাংলায় এসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা থেকেই এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে।
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে নানারকম সংখ্যার কথা শুনিয়েছেন। ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিজেপির সঠিক প্রতিশ্রুতি কোনটা? সেই প্রশ্নও উঠছে। সেটা নিয়ে এমনিতেই মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তা আরও বেড়ে গেল বোধহয়।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরুর সময় জেনারেল কাস্টের মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান দিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এসসি-এসটি মহিলারা পেতেন ১০০০ টাকা করে।
এবারের রাজ্য বাজেটের পর সেটাই জেনারেল কাস্টের মহিলাদের বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা আর এসসি-এসটি মহিলারা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা করে।
এমনিতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বাংলার মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার হাত ধরে গত কয়েকটি নির্বাচনে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস মহিলাদের একচেটিয়া সমর্থন পেয়ে এসেছে।
আরো পড়ুনঃ সব টাকা ফেরত দিতে হবে! সরকারি কর্মীর বাড়িতে চিঠি পাঠালো সরকার
মহিলাদের সেই সমর্থন নিজেদের দিকে টানতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নিয়েও বিজেপি নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সরকার চলে গিয়ে তারা যদি বাংলার ক্ষমতায় আসে তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।
যদিও আমজনতাকে আশ্বস্ত করতে গিয়ে রাজ্যে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী উল্টে বলেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অনুদান বেড়ে ৩০০০ টাকা হবে।
অপরদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, তাঁরা রাজ্যের ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বেড়ে ২০০০ টাকা হবে। রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার দু’রকম মন্তব্য আগেই বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। কিন্তু ভোট প্রচারে এসে অমিত শাহের আরেক রকম মন্তব্য বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক বরাদ্দ মাত্র ১০০ টাকা বাড়ানোর কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে বাংলার মহিলাদের অপমান করেছেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে এই নম্বরটা সেব করে রাখুন! ট্রেনে চাপলেই কাজে লাগবে
বিষয়টি নিয়ে বিজেপিও প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। এদিকে দলের নম্বর টু’র বলা কথার বিরোধিতা করার সাহসও দেখাচ্ছে না কেউ। সবমিলিয়ে লোকসভা নির্বাচন চললেও বঙ্গ রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।