শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার টানাপোড়েনে এবার চাপে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কী এমন চাপ! সম্প্রতি বাতিল হওয়া ২৫,৭৫৩ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওমেআর শিট সহ, কত জন পরীক্ষায় বসেছিলেন, কে কেমন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেই প্রমাণে রাজ্য সরকারের থেকে নথি চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। রাজ্য তা দিতে না পারায়, বিরক্তি প্রকাশ করে বেঞ্চ বলেছিল, এগুলো খেয়াল রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।
রাজ্য যদি যথাযথ রিপোর্ট না দিতে পারে, তাহলে যোগ্য অযোগ্য বাছাই কীভাবে হবে? এবার সেই রিপোর্টটাই খোঁজার জন্য শিক্ষা দফতরকে চাপ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ২০২৪ সালে এসে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। একের পর এক শুনানি, একের পর এক কথা জল্পনা। প্রায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে নাকচ করে সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছে রাজ্য। চলছে শুনানি।
আরো পড়ুনঃ গ্রাম পঞ্চায়েতে 6652 শূন্যপদে চাকরি, আবেদন কবে শুরু হবে?
কখনও মমতা সরকারের উদাসীনতার উপর তীর ছুঁড়ছে সুপ্রিম কোর্ট, কখনও আবার হাইকোর্টের এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তকেও নাকচ করে চলেছে। আগামী ১৬ জুলাই, ফের শুনানি হওয়ার কথা। তারই আগে এবার বিপাক থেকে বাঁচতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য।
জানানো হয়েছে যে আগামী ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে ২৫,৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে থেকে বাছতে হবে যোগ্যদের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যোগ্য ও অযোগ্যদের খুঁজে বের করতে বুধবার থেকে লেগে পড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
সূত্রের খবর ২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে ১৮,৯০০ জন যোগ্য প্রার্থী ধরেই কাজ করছে এসএসসি। খোঁজার কাজ কতটা এগোল। সেদিকে খেয়াল রাখছেন স্বয়ং মমতা। আলোচনা চলছে ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও। লক্ষ্য তো একটাই, সময়ের আগে শীর্ষ আদালতের কাছে যোগ্যদের তালিকা তুলে ধরা। যাতে অযোগ্যদের চাপে যোগ্যরা না চাকরি হারায়।
আরো পড়ুনঃ ATM কার্ড ভুলে গেলেও সমস্যা নেই, আধার কার্ড দিয়েই এইভাবে তুলুন টাকা
যোগ্যদের খোঁজার জন্য কীভাবে কাজ করছে SSC?
মূলত দু’টি হাতিয়ারকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে SSC-
১) চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্যের ওপর একটি হার্ডডিস্কও পাওয়া গিয়েছে।
২) সংখ্যাতত্ত্বের ওপর তথ্যও রয়েছে রাজ্যের কাছে।
এবার সময় বলবে, সময়ের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের যোগ্য চাকরি ফিরিয়ে দিতে কতটা সফল হয় SSC।