মমতার ধমকের পরেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ধমক ছাড়া নির্বাচন কমিশন কি কাজ করে না? অন্তত বাংলা থেকে ভিন রাজ্যে ভোট করাতে যাওয়া পুলিশ কর্মীদের ভোটদান নিয়ে যে পথে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দেখে এমন প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। কারণ প্রথম দুই দফার নির্বাচনে বাংলা থেকে যে পুলিশ কর্মীরা ভিন্ন রাজ্যে ভোট করাতে গিয়েছেন তাঁরা পোস্টাল ব্যালটে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারেননি।

সেই ব্যবস্থাই রাখেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শেষে দুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সরব হলে টনক নড়ে কমিশনের। ইতিমধ্যেই প্রথম দুই দফার নির্বাচনে দেশের ৩৫ শতাংশ লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। তাতে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬ টি আছে।

ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে মোট ১,৫০০ জন পুলিশ কনস্টেবল ও অফিসারকে ভিন রাজ্যে মোতায়েন করেছে।

আরো পড়ুন: চাকরি নেই তো কী হয়েছে! তবুও পেনশন পাবেন, এইভাবে সুযোগ কাজে লাগান

কিন্তু প্রথম দুই দফায় উত্তরবঙ্গের যে ৬ টি কেন্দ্রের নির্বাচন হয়েছে, ভিন রাজ্যে ভোট করাতে যাওয়া সেখানকার বাংলার পুলিশ কর্মীদের ভোটদানের কোন‌ও ব্যবস্থাই করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অথচ অন্যান্য সরকারি কর্মীরা যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরা সকলেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পেরেছেন বা দিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার নির্বাচনী জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তৃতীয় দফার ভোটের আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যদি পশ্চিমবঙ্গের এই পুলিশকর্মীদের ভোট দানের ব্যবস্থা না করে তবে তিনি রাজ্যের পুলিশ ফিরিয়ে নেবেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

জানা গিয়েছে ইলেকট্রনিক্যলি ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ইটিপিবিএমএস পদ্ধতিতে বাকি পাঁচ দফায় ভোট দেবেন ভিন রাজ্যে নির্বাচন করতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কর্মীরা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

উল্লেখ্য এই ইটিপিবিএমএস পদ্ধতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী ও আধিকারিক এবং ভিন রাজ্যে নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক বা অন্যান্য আধিকারিকরা ভোট দিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট করা এখন আরো সহজ, মাত্র এত টাকা দিয়েই পেয়ে যাবেন

আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৭ মে তৃতীয় দফার নির্বাচন। ওই দফা থেকে ভোটদানে আর কোনও সমস্যা হবে না বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। তবে একই সঙ্গে তারা বলেছে, ভিন রাজ্যে ভোট করাতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা আগাম আবেদন না জানানোতেই প্রথম দুই দফার নির্বাচনে ভোটদানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Comment