সবাই এখন লোনের দিকে ঝুকছে, কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি চাইলেও আর লোন দিতে পারবে না

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

হঠাৎই ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় শঙ্কার মেঘ। না, কোনও বড় ব্যাঙ্ক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, বা বড়সড় ঋণ জালিয়াতি হয়েছে এমনটা নয়। আসলে মানুষের আয় বৃদ্ধির হার কমায় এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার তার থেকে বেশি থাকায় সংসার খরচ সহ অন্যান্য খরচপাতি বাড়ছে। তার ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্য মধ্যবিত্তরা সবরকম খরচ মিটিয়ে আর সঞ্চয় করে উঠতে পারছেন না। ফলে ব্যাঙ্কে টাকা জমার (Deposit) পরিমাণ কমছে

এত দূর পড়ে যদি ভাবেন গত বছর ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলোতে যত টাকা ডিপোজিট হয়েছে এবার তার থেকে কম জমা পড়ছে তবে ভুল ভাববেন। আসলে ব্যাঙ্কে টাকা জমা বৃদ্ধির হার কমেছে। উল্টো দিকে দেখা যাচ্ছে ঋণের চাহিদা এবং ব্যাঙ্কগুলোর ঋণ প্রদান বৃদ্ধির হার আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোর ঋণ প্রদান বৃদ্ধির হার ১৮% এর কাছাকাছি। অপরদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোতে ঋণ প্রদান বৃদ্ধির হার ১২-১৪ শতাংশ।

মুশকিলটা ঠিক এখানেই হয়েছে। মানুষ ভারতীয় ব্যাঙ্কে যতটা টাকা জমা রাখছে তার থেকে বেশি ঋণের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কের ডিপোজিট বৃদ্ধির হারের থেকে ব্যাঙ্কগুলোর ঋণ প্রদান বৃদ্ধির হার বেশি।

আরো পড়ুনঃ মে মাসে কত তারিখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকবে?

এই পরিস্থিতি আগামী বেশ কিছুদিন চলতে থাকলে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ব্যাঙ্কগুলো ঋণ প্রদান বন্ধ করে দিতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলোকে দ্রুত ঋণ প্রধান বৃদ্ধির হার কমিয়ে ডিপোজিট বৃদ্ধির হারের সমান জায়গায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে অর্থনীতিবিদদের একাংশ জানান

তাঁদের মতে, নিকট ভবিষ্যতে ব্যাঙ্কে ডিপোজিট বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ বহু মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা না রেখে শেয়ার বাজারে টাকা খাটানোর দিকে ঝুঁকছে। তার ওপর ব্যাঙ্কের প্রদেয় সুদের হার অনেকটাই কমে যাওয়ায় তা আর বিশেষ একটা আকৃষ্ট করছে না গ্রাহকদের অনেককেই। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে ব্যাঙ্কগুলোয় পর্যাপ্ত ফান্ডের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরো পড়ুনঃ ২৫,০০০ চাকরি বাতিলের খারাপ প্রভাব! একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বন্ধ করে দিল স্কুল, জারি হলো নোটিশ

তাই ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবসাকে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে ঋণ প্রদানের হার কিছুটা কমিয়ে আনতে হবে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছে। তবে সেটা যদি হয় সেক্ষেত্রে দেশের নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির গতি তাতে রুদ্ধ হবে।

Leave a Comment