প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুব শীঘ্রই “LIC বীমা সখী যোজনা” নামক একটি বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে চলেছেন। সোমবার হরিয়ানার পানিপথে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পটির শুভ সূচনা করা হবে। এই উদ্যোগে গ্রামের নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং চাকরির সুযোগ প্রদান করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা সংস্থা LIC-এর অধীনে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হবে।
ভারতের নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পটি চালু করছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন হরিয়ানার রাজ্যপাল বান্দারু দত্তাত্রেয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই প্রকল্পটির শুভ সূচনা হবে।
কি কি সুবিধা মিলবে এই যোজনায়?
LIC বীমা সখী যোজনার আয়তায় মহিলারা বীমা এজেন্ট হিসেবে কাজ করার সুবিধা অর্জন করতে পারবে। মহিলা প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা এবং কমিশন ভিত্তিক ইনসেন্টিভ উপার্জন করতে পারবেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
- প্রথম বছরে প্রতি মাসে ৭০০০/- টাকা করে প্রদান করা হবে,
- দ্বিতীয় বছরে প্রতি মাসে ৬০০০/- টাকা করে প্রদান করা হবে,
- তৃতীয় বছরে প্রতি মাসে ৫০০০/- টাকা করে প্রদান করা হবে,
- এছাড়া বীমা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলে ২১০০/- টাকা অতিরিক্ত ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে।
কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা
প্রথম ধাপে ৩৫ হাজার মহিলাকে বীমা এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে এই স্কিমে। ভবিষ্যতে আরো ৫০ হাজার মহিলাকে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্তি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে হরিয়ানায় শুরু হবে এবং ধীরে ধীরে সারা দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যে সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
LIC বীমা সখী যোজনায় অংশগ্রহণ করার জন্য আগ্রহী মহিলাকে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল-
- আগ্রহী মহিলার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বছরের মধ্যে,
- আবেদনকারীকে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো পাচ্ছেন! এবার এই প্রকল্পে আবেদন করলে পাবেন ₹25000 টাকা, এভাবে আবেদন করুন
নারীর ক্ষমতায়নের পথে বড় পদক্ষেপ
LIC বীমা সখী যোজনার মূল উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। বীমা এজেন্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগের পাশাপাশি তারা আর্থিক দিক থেকে আরও সচ্ছল হয়ে উঠবেন এই স্কিমের মাধ্যমে।
LIC বীমা সখী যোজনা কেবল একটি বীমা প্রকল্প নয়, এটি নারীর ক্ষমতায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন ভারতের মহিলাদের জীবন নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।