রবিবার সন্ধ্যা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে দাবি করছে যে, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশের সমস্ত এটিএমে আর ৫০০ টাকার নোট (500 Rupee Note) পাওয়া যাবে না। আর পোস্টটি ভাইরাল হতেও বেশি সময় লাগেনি। মুহূর্তের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আবারো কি নতুন নতুন করে নোট বন্দির পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার?
রিজার্ভ ব্যাংক কি আদৌ কিছু বলেছে?
আসলে এই বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে সবসময়ই থাকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। তবে আপাতত তাদের তরফ থেকে এরকম কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা আসেনি। কোনও প্রেস রিলিজও না বা ওয়েবসাইটে কোনও বিজ্ঞপ্তিও না। ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এটি শুধুমাত্র জল্পনা।
গত কয়েক মাসে আরবিআই কিছু গাইডলাইন জারি করেছিল যে, ১০০ টাকা ও ২০০ টাকার নোট বেশি পরিমাণে যোগান দিতে হবে। ফলে এটিএম-এ ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা কমার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বলে পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু তথ্য মেলেনি।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন মূল লক্ষ্য
দেশের এখন বেশিরভাগ লোকই ডিজিটাল লেনদেনের উপর ভর করে চলছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭০% লেনদেন শুধুমাত্র ইউপিআই-র মাধ্যমেই হয়েছে। আর সরকারের এই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে ইলেকট্রনিক লেনদেনে উৎসাহ দেওয়া। তাই ৫০০ টাকার নোট এটিএম থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনাকেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: প্যান কার্ড ২.০-তে কী সুবিধা মিলবে? কীভাবেই বা পাবেন, পুরনো কার্ড কি বাতিল? জেনে নিন
বলে রাখি, ৫০০ টাকার নোটের প্রসঙ্গে উঠলেই সেই ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বরের কথা মনে পড়ে। সেদিন মোদি সরকার আচমকাই ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়েছিল। তখন মূল লক্ষ্য ছিল—কালো টাকা বন্ধ করা। তবে আরবিআই-র পরবর্তী রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯৯.৩% বাতিল নোট আবার ফিরে এসেছিল ব্যাঙ্কে।
ফলে প্রশ্ন উঠছিল যে, এই পদক্ষেপ আদৌ কার্যকর ছিল কিনা। আর এখন যদি ৫০০ টাকার নোট বাতিলের কোনোরকম পদক্ষেপ আসে তার প্রভাব নিয়েও রাজনৈতিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক মহলে যে আলোচনা শুরু হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।