ভারতের গ্রামীণ ব্যাংকগুলি এবার নতুন রূপ পেতে চলেছে। হ্যাঁ, সরকারের ‘ওয়ান স্টেট ওয়ান আরআরবি’ (One State One RRB) নীতির আওতায় আগামী ১লা মে থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে। ৪৩টি আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক এবার মিশে গিয়ে ২৮টিতে পরিণত হচ্ছে। আর এই সংযুক্তিকরণের লক্ষ্য একটাই- গ্রামীণ ব্যাংকিং পরিষেবাকে আধুনিক এবং স্বচ্ছ করে তোলা।
কেন এই মার্জিন করা হচ্ছে?
গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এখনও অনেক মানুষ সঠিকভাবে ব্যাংকিং সুবিধা পান না। আর সেই সমস্যার সমাধান করতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পরিকল্পনায় এবার আরআরবিগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আর এই উদ্যোগ দেশের আঞ্চলিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে চতুর্থ ধাপের মাধ্যমে সাজানো হচ্ছে। এর আগে ২০০৬-২০১০, ২০১৩-২০১৫ এবং ২০১৯ সালে ৩ বার মার্জার হয়েছে।
কোন রাজ্যগুলিতে ব্যাংক মার্জিং হচ্ছে?
এই পর্বে মোট ১১টি রাজ্যের ১৫টি আরআরবি মিলিয়ে ১১টি গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হবে। আর এই রাজ্যগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, গুজরাট, জন্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা এবং রাজস্থান।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কী হচ্ছে?
পশ্চিমবঙ্গের গ্রাহকদের জন্য সবথেকে বড় খবর, পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আরআরবি একীভূত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হচ্ছে। আর এই ব্যাংকগুলি হল বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাংক, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক এবং উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক।
উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধপ্রদেশে বড়সড় পরিবর্তন
এদিকে উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে বড়দা ইউপি ব্যাংক, আর্যাবত ব্যাংক ও প্রথমা ইউপি গ্রামীণ ব্যাংক একসঙ্গে মিলে উত্তরপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হচ্ছে, যার হেড অফিস হবে লখনউতে এবং স্পন্সর হবে ব্যাংক অফ বরোদা।
একইভাবে অন্ধপ্রদেশের চৈতন্য গোদাবরী, অন্ধ্র প্রগতি, সপ্তগিরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক মিশে গিয়ে অন্ধপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হচ্ছে, যার হেড অফিস অমরাবতীতে এবনফ স্পন্সর হবে ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।
অন্যান্য রাজ্যগুলির কী অবস্থা?
এদিকে বিহারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংক মিলে বিহার গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হচ্ছে যার স্পন্সর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। গুজরাটের ক্ষেত্রে বরোদা গুজরাট ও সৌরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংক মিলিয়ে গুজরাটি গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হচ্ছে, যার স্পন্সর হবে ব্যাংক অফ বরোদা। একইভাবে জন্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীর আরআরবি মিলিয়ে জন্মু ও কাশ্মীর গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের রেজাল্টের দিনক্ষণ জানালো পর্ষদ! কোন কোন সাইটে দেখা যাবে জানেন?
সাধারণ গ্রাহকদের কী হবে?
যাদের এই মার্জার হওয়া ব্যাংকগুলিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের কোন চিন্তার কারণ নেই। হ্যাঁ, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যালেন্স কিংবা পরিষেবায় কোনরকম ঘাটতি দেখা যাবে না। শুধু পরিবর্তন হবে ব্যাংকের নাম এবং আইএফএসসি কোড, আর যেটা ব্যাংক নিজে থেকেই গ্রাহকদের সতর্ক করে দেবে।