Teacher Recruitment: রাজ্যে বেকারত্বের অন্ধকার ঘুচছে। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতার পর হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। হ্যাঁ, সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষকের চাকরি।
কার্যত তারা পথে বসেছে চাকরিহারা হয়ে। আর এবার তাদের সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, রাজ্যে খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে ৪৪,২০৩ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের গোটা এসএসসি প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল। সেখানে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি, সবমিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়। আর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবুও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
কবে থেকে আবেদন শুরু হচ্ছে?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন যে, ৩০ মে থেকে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এমনকি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ৩-৪ দিন পর, অর্থাৎ ৩ থেকে ৪ জুনের মধ্যে প্রকাশিত হবে।
কোন পদে কটি শূন্যপদ?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ যোগ করে মোট ৪৪,২০৩ টি শূন্যপদ বরাদ্দ করা হয়েছে। আর তার মধ্যে থাকছে-
- নবম-দশম শ্রেণির জন্য চাকরিহারা প্রার্থীদের ২৩,২১২ টি, অতিরিক্ত শূন্যপদ হিসেবে ১১,৫০০ টি অর্থাৎ, মোট ৩৪,৭২৯ টি শূন্যপদ পাওয়া যাবে।
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য চাকরিহারা প্রার্থীদের জন্য ১২,৫১৪ টি এবং অতিরিক্ত ৬৯১২ টি শূন্যপদ থাকছে। অর্থাৎ, মোট ১৯,৪২৬ টি শূন্যপদ পাওয়া যাবে।
- গ্রুপ-সি পদে চাকরিহারা প্রার্থীদের জন্য ২৯২৯ টি এবং অতিরিক্ত হিসেবে ৫৭১ টি শূন্যপদ থাকছে। অর্থাৎ, মোট ৩৫৬০ টি শূন্যপদ পাওয়া যাবে।
- গ্রুপ-ডি পদের ক্ষেত্রে চাকরিহারা প্রার্থীদের জন্য ৫৪৮৮ টি এবং অতিরিক্ত হিসেবে ১০০০ টি শূন্যপদ, অর্থাৎ মোট ৬৪৮৮ টি শূন্যপদ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ATM, UPI থেকে ন্যূনতম ব্যালেন্স! ১ জুন থেকে বদলে যাচ্ছে ব্যাঙ্কের সব নিয়ম
বলে রাখি, মুখ্যমন্ত্রীর এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, যারা আগে চাকরি করতেন, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার পর চাকরি হারিয়েছেন, তাদের জন্য এবার বিশেষ ছাড়ও থাকবে। প্রথম কথা, বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।
কারণ, অনেকেরই বয়স এখন চাকরির যোগ্যতার গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। আর যারা ইতিমধ্যে কাজ করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এমনকি প্রয়োজনে তাদের পুরনো কর্মস্থলে পুনর্বহাল করিয়ে দেওয়া হতে পারে।