রাজ্যজুড়ে চলা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর এখন শেষ পর্যায়ে। তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই আশঙ্কা ছিল। সেই দুশ্চিন্তাই এবার সত্যি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ম্যাচিং সম্পন্ন হওয়া প্রায় ৬ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম কোনও না কোনওভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি কমিশন বলছে, এনুমারেশন ফর্মের আরও ম্যাচিং বাকি রয়েছে। ফলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
ম্যাচিং না মিললে ভরসা ছাপানো ভোটার তালিকা
নতুন দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনলাইন ম্যাচিং ব্যর্থ হলে এবার ছাপানো পুরনো ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করে মিলিয়ে দেখা হবে। আর এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এসআইআর প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দিল্লি থেকে তিনজন শীর্ষ আধিকারিককে রাজ্যে পাঠাচ্ছে। তালিকায় রয়েছেন প্রধান সচিব বি সি পাত্র, সচিব সৌমজিৎ ঘোষ, এবং অবর সচিব বিবর আগারওয়াল।
বিএলও বিক্ষোভ নিয়েই কমিশনের চিঠি
এদিকে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী অফিসের ভিতরে বিএলও রক্ষা কমিটির আকস্মিক অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে আরও উত্তেজনা শুরু হয়। আর এই ঘটনার পর কমিশনের সচিব সুজিত কুমার মিশ্র কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য রিপোর্ট চেয়েছেন ।
উল্লেখ্য, এসআইআর এর অতিরিক্ত চাপ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিএলও-দের উপরে প্রভাব ফেলছে। মঙ্গলবার তিনজন বিএলও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সুশান্ত শিকদার জিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক, বয়স ৫৭, তিনি রক্তচাপের সমস্যায় অসুস্থতায় পড়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ৩০ নভেম্বর লাস্ট ডেট! এই ৩ টি কাজ বাকী থাকলেই আজই সেরে ফেলুন
নামখানার বিএলও অসুস্থ
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার একজন বিএলও কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মহেশতলা এলাকার ফরিদা ভখাতুন নামের এক বিএলও-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি মোট ৮১২টি ফর্ম বিলি করেছিলেন। তার মধ্যে ৫৫০টি ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে ফর্ম সংগ্রহ বা ডিজিটাইজেশন করতে পারেননি। এর ফলে তাকে শোকজ করে দেওয়া হয়েছে।