গতবছরের ১৯ মে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক বা RBI যখন ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিল, তখন মোট ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার নোট বাজারে ছিল।
কিন্তু বর্তমানে সেই পরিমাণের মধ্যে ৬৯৭০ কোটি টাকার নোট এখনো মানুষের কাছে রয়ে গেছে। এই তথ্য RBI-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা।
এক মাসে ফেরত এসেছে প্রায় ১৪৭ কোটি টাকার নোট
RBI-এর সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে ২০০০ টাকার নোটের প্রায় ৯৮.০৪ শতাংশই ফেরত এসেছে। তবে এখন এই নোটের ফেরত আসার গতি বেশ ধীর রয়েছে। গত অক্টোবর মাসে মোট ১৬৭ কোটি টাকার নোট ফেরত এসেছে। এর আগে ১ অক্টোবরে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছিল যে তখনো বাজারে ৭১৭ কোটি টাকার নোট বাকি ছিল, যা এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৯৭০ কোটি টাকায়।
ধীরে ধীরে নোট ফেরতের গতি হ্রাস পাচ্ছে
১ জুলাই, ২০২৪ তারিখে RBI-এর তথ্যে জানা যায় তখন ৭৫৮১ কোটি টাকার নোট বাজারে বর্তমান ছিল। ১ অক্টোবর, ২০২৪ সেই পরিমান ছিল ৭১১৭ কোটি টাকা এবং ৩১ অক্টোবর এটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯৭০ কোটি টাকায়। এর অর্থ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৬১১ কোটি টাকার নোটই ফেরত চলে গেছে।
২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার “ক্লিন নোট পলিসি” অনুসারে ১৯ মে, ২০২৩ তারিখে ২০০০ টাকার সমস্ত নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সমস্ত নোট ফেরতের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এই সময়সীমা আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এখনো কোথায় জমা করা যাবে ২০০০ টাকার নোট?
এই ২০০০ টাকার নোটগুলো এখনো জমা করা সম্ভব। যদিও সাধারণ ব্যাংকগুলোতে এখন আর এই টাকা নেবে না। RBI-এর নির্দেশনায় সম্প্রতি জানানো হয়েছে এখন শুধুমাত্র ১৯ টি RBI-এর আঞ্চলিক অফিস যেমন- আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ইত্যাদি জায়গায় এবং ভারতীয় ডাকঘরের মাধ্যমেই এই ২০০০ টাকার নোট জমা করা যাবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় আপডেট, এবার ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা দেওয়া হবে প্রত্যেক মহিলাকে
নোট বন্দির পর চালু করা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট
প্রথম নোট বন্দির পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল দ্রুত লেনদেন সহজ করা। তবে ২০১৮-১৯ সালের পর এই নোটের ছাপানো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ২০২৩ সালে এই নোটও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।