মাত্র ৩০ পয়সায় ১ কিমি! বাজার কাঁপাতে আসছে জিওর ইলেকট্রিক স্কুটার

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

টেলিকম জগতের পর এবার অটোমোবাইল দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটাতে চলেছে আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স। বহু প্রতিক্ষার পর এবার বাজারে আসতে চলেছে জিওর ইলেকট্রিক স্কুটার (Jio EV Scooter)। আকর্ষণীয় ডিজাইন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং ব্যয়বহুল মডেলের তুলনায় এই গাড়িটি অসাধারণ ফিচার্স নিয়ে এবার বাজারে আসছে, যা মধ্যবিত্তদের অন্যতম ভরসা হতে পারে। 

সাধারণ রূপে অসাধারণ সব সুবিধা

জিওর এই স্কুটারটি তৈরি করা হচ্ছে একদম সাধারণভাবে, কিন্তু ডিজাইনে সেরা। যারা নিয়মিত বাজার বা অফিসে যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি হবে সেরা বিকল্প। এই স্কুটারে রয়েছে বড় ফ্লোরবোর্ড, যাতে বাজারের ব্যাগ বা ছোট জিনিস বহন করা যায়। রয়েছে ১২ ইঞ্চির চাকা এবং আরামদায়ক সিট। এমনকি দুজনের জন্যই সেরা স্কুতিন এটি।

শক্তিশালী পারফরম্যান্স

এই স্কুটারে রয়েছে ৪ কিলোওয়াট শক্তির একটি শক্তিশালী মোটর, যা ১১Nm টর্ক উৎপন্ন করে। আর এরকম কার্যক্ষমতা সাধারণত শহরাঞ্চলের রাস্তা হোক বা গ্রামের পথ, সব জায়গায় সেরা। পাশাপাশি স্কুটিটিতে তিনটি রাইডিং মোড রয়েছে। যেগুলি হল-

  • ইকো মোড, যা সর্বোচ্চ রেঞ্জ দেয়। 
  • সিটি মোট, যা প্রতিদিনের কাজের জন্য সেরা অপশন। 
  • স্পোর্ট মোড, যা ফাঁকা রাস্তায় গতির জন্য সেরা অপশন। 

চার্জিং এবং ব্যাটারি

এই স্কুটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩.২ kWh লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা জল প্রতিরোধ করতে পারে। এই ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দিলে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যায়। যদিও বাস্তবে এটি ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলে। সূত্র বলছে, সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় লাগবে ৪.৫ ঘন্টা। তবে সব থেকে অবাক করার বিষয়, জিও স্টেশনে গেলে মাত্র ২ মিনিটেই ব্যাটারি পাল্টে নেওয়া যায়।

নজরকাড়ার মত সব ফিচার

জিওর এই স্কুটিতে রয়েছে আধুনিক সব ফিচার। যেমন-

  • টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন,
  • CBS ব্রেকিং সিস্টেম ও অ্যান্টি-স্কিড টায়ার,
  • ভয়েস নেভিগেশন ও JioMart ইন্টিগ্রেশন,
  • 4G LTE কানেক্টিভিটি, লাইভ ট্র্যাকিং, চুরির সতর্কতা ও জিও-ফেন্সিং সুবিধা।

আর এইসব ফিচার্স গাড়িটিকে অনন্য গড়ে তুলেছে। 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্যে এবার লক্ষ্মীলাভ! পাট থেকে শুরু করে সব ফসলের MSP বাড়লো

সাশ্রয়ী খরচ

এই স্কুটিটি চালাতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে মাত্র ৩০ পয়সা, যা পেট্রোলের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ কম। পাশাপাশি এতে ইঞ্জিন তেল, ক্লাচ বা স্পার্ক প্লাগের কোন ঝামেলা না থাকায় রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেকটাই কম। তাই যারা শহরে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করেন, বিশেষ করে অফিস যাওয়া বা বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, তাদের জন্য এটি হতে পারে সেরা বিকল্প।

Leave a Comment