মে মাস থেকে বন্ধ হতে পারে এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG Cylinder) ডেলিভারি। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দিনের মধ্যে বাড়ছে। একদিকে যেমন দাম বেড়েছে, অন্যদিকে গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়াতে এবার বাঁধা আসতে পারে।
জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসেই সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা করে। আর তার রেশ কাটার আগেই এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের হুশিয়ারি এসেছে। আর তার জেরে আগামী দিনে বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ডেলিভারিতে বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কেন ধর্মঘটের হুশিয়ারি দিলেন সরবরাহকারী?
গত রবিবার এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের কমিশন বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী অত্যন্ত কম। দাম, পরিবহন খরচ, কর্মী নিয়োগ, কোম্পানি পরিচালনা, সবমিলিয়ে যা আয় হয়, তাতে তাদের সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। জানা যাচ্ছে, তিন মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তারা ধর্মঘটে বসবে। আর ধর্মঘট মানেই সরাসরি প্রভাব পড়বে গৃহস্থালির রান্নাঘরে।
সংগঠন কী বলছে?
উল্লিখিত সংগঠনের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, এতদিনের কমিশনে আমরা চালাতে পারছি না। মূল্যবৃদ্ধির সময় আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কমিশন বাড়ানো জরুরী। আর আমরা কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছি, যাতে অবিলম্বে কমিশন কমপক্ষে ১৫০ টাকা করা হয়।
তারা আরও অভিযোগ করেন, তেল কোম্পানিগুলির পক্ষ থেকে কিছু অবৈধ নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সরবরাহকারীদের উপর, যা তাদের আইনবিরুদ্ধ এবং অমানবিক। আর এর প্রতিবাদেই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছি।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড বাতিল হচ্ছে! খাদ্য দপ্তরের কড়া নির্দেশিকা
সাধারণ মানুষের উপর কীরকম প্রভাব পড়তে পারে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, ধর্মঘটে গ্যাস ডেলিভারি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি গৃহস্থের রান্নার কাজ ব্যাহত হবে এবং যাদের ঘরে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই, তারা বড় সমস্যার মুখোমুখি পড়বেন। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে, যার ফলে কালোবাজারি এবং দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
যদিও এ বিষয়ে এখনও কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে সরবরাহকারীদের দাবি বিবেচনা করে সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দেশজুড়ে গ্যাস সরবরাহে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে।