বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্র সরকার একের পর এক বিভিন্ন কার্ড চালু করেছে। আজকে আমরা এমন 4 টি কার্ডের কথা বলব যেগুলি সকলের থাকা উচিত।
বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প এবং সুবিধা পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের জনগণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্প গুলিতে বর্তমানে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। সেই সাথে এমন আরও বেশ কিছু কার্ড রয়েছে যেগুলি থাকলে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। এবার আমরা জেনে নেব কোন 4 টি কার্ড থাকা জরুরী-
আধার কার্ড (Aadhaar Card)
ভারত সরকার প্রদত্ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি হল আধার কার্ড। বর্তমানে স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আবেদন, ব্যাংক একাউন্ট খোলা, জন্ম সার্টিফিকেট ও মৃত্যু সার্টিফিকেট তৈরি সহ বিভিন্ন কাজে আধার কার্ড প্রয়োজন।
আধার কার্ড শুধুমাত্র একটি পরিচয় পত্র না, এটি একজন ভারতীয়র অনন্য (Unique) পরিচয় পত্রের কার্ড। কেননা একটি আধার কার্ডের মধ্যে একজন মানুষের আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রেটিনার তথ্য সহ বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকে।
প্যান কার্ড (PAN Card)
প্যান কার্ড সকলের থাকতে হবে এমন কোন বাধ্যতামূলক ব্যাপার নেই। তবে ব্যাংক একাউন্ট খোলা, টাকা-পয়সার লেনদেন, এটিএম কার্ড তৈরি সহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের জন্য প্যান কার্ড করা অত্যন্ত জরুরী। এক কথায় একজন ভারতীয় তার জীবনে যতগুলো আর্থিক লেনদেন করে তার সমস্ত তথ্য প্যান কার্ডের মাধ্যমেই কেন্দ্র সরকার সরাসরি জানতে পারে, তাই এটা করা জরুরী।
প্যান কার্ডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করা। ইনকাম ট্যাক্স অর্থাৎ আয়কর রিটার্ন জমা করার জন্য প্যান কার্ড এখন বাধ্যতামূলক। যে সমস্ত ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ বেশি এবং যারা ব্যবসা বা চাকরির সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য এটা বেশি জরুরী।
ই-সঞ্জীবনী কার্ড (eSanjeevani Card)
এই কি সঞ্জীবনী কার্ডের কাজ হল ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া। এই কার্ড থাকলে আপনি ঘরে বসে ডাক্তারের সাথে দরকারি পরামর্শ করতে পারবেন। এই কার্ড যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কথা রাখল সরকার! সুভদ্রা যোজনার ৫০০০ টাকা ঢুকলো, আপনি পাবেন কিনা দেখুন
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card)
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সমস্ত জনগণের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করেছে। এই কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার বছরের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। অর্থাৎ রাজ্যের কোন পরিবার চিকিৎসা করার প্রয়োজন হলে এই কার্ড দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ জোগাতে পারবে। এই কার্ডকে সরকারি স্বাস্থ্য বীমা বলা যেতে পারে।
২০২১ এর বিধানসভা ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরীর কাজ শুরু করেছিল। আপনার যদি এই কার্ড না থাকে তবে এখন অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করে তা হাতে পেতে পারেন।