প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ই প্রতিটি দেশ পাসপোর্টের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছিল। এখন তাই বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই নথিগুলো জরুরি। কারণ এর মধ্যে নাম, ঠিকানা, বয়স, ছবি, নাগরিকত্ব এবং স্বাক্ষর থাকে। এর দরুণ, ব্যক্তি যে দেশে যাচ্ছেন সেখানে তাঁর পরিচয়ও খুঁজে বের করা সহজ হয়ে যায়। তাই এখন সব দেশই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করে।
তবে, এখন আর পাসপোর্ট ভিসা, কিছুই লাগবে না। এমনি এমনি ঘুরে আসতে পারবেন, দেশ বিদেশে। শুধুমাত্র কয়েকটি ট্রিকস জানা জরুরি। এই ব্যক্তিরা যখন বিদেশ ভ্রমণ করেন, তখন তাঁদের পাসপোর্টের কথা কেউ জিজ্ঞেস করে না।
1920 সালে প্ৰথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে পাসপোর্টের মতো ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল। লীগ অফ নেশনস-এ আলোচনার পর 1924 সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন পাসপোর্ট সিস্টেম জারি করে। তবে এখনও 3 জন বিশেষ ব্যক্তি রয়েছেন যাদের বিশ্বের কোথাও ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই।
কোন ৩ জন্য ব্যাক্তি পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বিভিন্ন দেশে যেতে পারেন?
এই তিনজন বিশেষ ব্যক্তি হলেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা ও রানী। চার্লস ব্রিটেনের রাজা হওয়ার আগে প্রয়াত রানী এলিজাবেথের কাছেও এই সুবিধা ছিল। কিন্তু তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়ত। ব্রিটিশ রাজারও এই অধিকার আছে, কিন্তু তাঁর স্ত্রীর নেই। অন্য দেশে যাওয়ার সময় তাঁদের কনস্যুলার পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয়। একইভাবে, রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও বিশেষ সম্মানীয় পাসপোর্ট রাখতে হয়।
পিতা আকিহিতো সম্রাট হিসেবে পদত্যাগ করার পর জাপানের বর্তমান সম্রাট হয়েছিলেন নারুহিতো। তার স্ত্রী মাসাকো ওওয়াটা জাপানের সম্রাজ্ঞী ছিলেন। যতদিন তাঁর বাবা জাপানের সম্রাট ছিলেন, ততদিন তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীর পাসপোর্ট রাখার প্রয়োজন ছিল না।
আরো পড়ুনঃ প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার! ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়স হলেই আবেদন করুন
জাপানের সরকারি নথিতে দেখা যায় যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় 1971 সালে তার সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীর জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা শুরু করেছিল। এরপর 88 বছর বয়সী আকিহিতো 2019 সাল পর্যন্ত জাপানের সম্রাট ছিলেন, তারপরে তিনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমতাবস্থায়, এখন তাদের বিদেশ ভ্রমণের সময় কনস্যুলার পাসপোর্ট বহন করতে হয়।
উল্লেখ্য, এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় বিশ্বের সব প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। কনস্যুলার পাসপোর্ট থাকে তাঁদের। এই নেতাদের নিরাপত্তা পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রক্রিয়া থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। ভারতে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকেও এই একই মর্যাদা দেওয়া হয়।