পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা বিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (WBBSE) ২০২৫ সালের জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটি (School Holiday) বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসের দিকে যাতে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার জন্য কোনও শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে ছুটির সময়কাল
এই বছর, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাড়ানো হয়েছে, তবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। এর কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছোট বাচ্চাদের জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটির সংক্ষিপ্ততা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষকরা বিশ্বাস করেন যে প্রাথমিক স্তরেও গ্রীষ্মকালে দীর্ঘ ছুটি পেলে ভালো হত।
কতটা ছুটি বাড়ানো হল?
বর্ধিত ছুটির বিবরণ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ছুটির প্রাথমিক তালিকায় ২০২৫ সালের জন্য ১১ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেখানো হয়েছে। ২০২৪ সালে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল মাত্র ১০ দিন, কিন্তু এ বছর ছুটি আরও এক দিন বাড়ানো হয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে পর্যন্ত শেষ হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে যে, গত বছরের মতো তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ছুটি আরও বাড়ানো যেতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু ছুটিতেও স্কুল খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হবে, যদিও কোনও ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে না। এটি শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের কিছু সদস্যের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যারা পরামর্শ দিয়েছেন যে এই ছুটিগুলিকে কেবল ছুটি হিসেবে বিবেচনা না করে “কার্যকর দিন” হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। তবে, বোর্ড এখনও তাদের অনুরোধ গ্রহণ করেনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে অতিরিক্ত ছুটি দিলে আরও একটি সমস্যা দেখা যায়। এটি শিক্ষকদের সময়মতো সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। আসলে, শিক্ষকরা পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করেন এবং গরমের কারণে যে কোনও স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে ট্র্যাকে থাকা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: একের বেশি অ্যাকাউন্ট থাকলেই বিপদ! গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা, দেখুন RBI এর নির্দেশ
এ প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ববর্তী নিয়ম অনুসারে যদি বার্ষিক ছুটি ৮৫ দিন নির্ধারণ করা হত, তাহলে এই সমস্যাগুলি এড়ানো যেত।
বর্তমানে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকায় ১১ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেখানো হয়েছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হবে কিনা তা এখনও আলোচনার বিষয়। আপাতত, গত বছরের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা হয়েছে।