কোনও ছুটি নেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের। একেবারেই CL দেওয়া হবে না। কোনও লিভ পাবেন না। 16 তারিখটা ম্যানেজ করে টানা 5 দিন ছুটির স্বপ্ন দেখেছিলেন অনেকেই। সরকারি কর্মীরা ভেবেছিলেন 15-16-17-18-19 অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার, রবিবার, সোমবার পর্যন্ত পুরো স্বাধীনতা দিবস থেকে রাখি পূর্ণিমা পর্যন্ত জমিয়ে ছুটি খাবেন। কিন্তু সেই খাওয়ার থালাতেই জল ঢাললেন মমতা সরকার।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আজ শুক্রবার রাজ্যের সকল সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে কাজে যোগ দিতে হবে। ছাড় পাবেন না আধা সরকারি কর্মীরা।
এমনকি বুধবার অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন যাঁরা ছুটি নিয়েছিলেন, তাঁদেরও নিস্তার নেই। এদিন অফিসে না আসলে বড় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু ১৬ অগস্টে তো বন্ধ ডাকা হয়েছে, তাহলেও রাজ্য সরকারের এমন নিয়ম কেন? এবার থেকে কি কোনও অতিরিক্ত ছুটিই নিতে পারবেন না?
অফিসে না এলে কোন বিপাকে পড়বেন কর্মীরা?
1) সরকারি কর্মীরা অফিস না এলে মাইনে কেটে নেওয়া হবে।
2) অফিসে না আসার যথাযথ কারণ না দেখাতে পারলে বিশেষ নোটিশ দেওয়া হবে।
3) আবার এই নোটিশের জবাব না দিতে পারলে শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ আসবে।
4) অফিসে কর্মীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। বিপদের শেষ থাকবে না।
রাজ্য সরকারের কোন কর্মীরা এই নিয়মের আওতায় পড়বেন না?
1) কোনও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে চাপ নেই।
2) পরিবারে শোকের পরিস্থিতি থাকলে ছাড় পাবেন।
3) 14 অগস্টের আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটি নিলে ছাড় পাবেন।
4) মাতৃত্বকালীন ছুটি নিলেও চিন্তা নেই।
5) চাইল্ড কেয়ার লিভ নিলেও হবে।
আরো পড়ুনঃ রাজ্যের ১৪ জেলায় কমল পেট্রোলের দাম, কোথায় কত দাম? লিস্ট দেখুন
সব ছুটির ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য?
আসলে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসেরও শীঘ্রই মিছিল বের করার কথা। এমন পরিস্থিতিতে কাজ কর্ম আটকে গেলে তো বিপদের শেষ থাকবে না। তাই রাজ্যের কাজ কর্ম সচল রাখতে বড় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন মমতা। কড়াকড়ি করে শুধুমাত্র আজকের এই ছুটিই বাতিল করে দিয়েছেন।