দিনকে দিন গরম ক্রমশ বাড়ছে। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে বাংলার মানুষের, যে কারণে ইলেকট্রিসিটি ও ফ্যান ছাড়া থাকা থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে সকলের পক্ষে। আবার আমাদের রাজ্যে পুরোপুরি বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু ভারী বৃষ্টির কোনও দেখা নেই। এর ফলে একটা আদ্রতা জনিত গুমোট ভাব তৈরি হয়েছে এবং যা প্রত্যেকটা মুহূর্তে বেড়ে চলেছে।
এই গরম থেকে মুক্তি পেতে প্রত্যেকটা মুহূর্তে ফ্যান চালাতে হচ্ছে, যে কারণে স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুতের বিল বাড়ছে। এসবের মধ্যে ইলেক্ট্রিক বিল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদ বা WBSEDCL।
মধ্যবিত্ত ঘরের সাধারণ মানুষদের এখন এই বিদ্যুতের বিল নিয়ে চিন্তার কোনও শেষ নেই! কারণ বিদ্যুতের বিলের জন্য তাদের পকেটেও বেশ চাপ আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
আগের দিনগুলিতে WBSEDCL গ্রাহকদের ইলেক্ট্রিকের গড় বিল পাঠিয়ে ছিলো, যা ছিল একসাথে তিন মাসের বিল, একবারে সেই বিল দেওয়া গ্রাহকদের পক্ষে একটু চাপের হয়ে পড় ছিলো।
আবার কোনও কোনও গ্রাহক অভিযোগ করেছিলো যে, প্রতি মাসের বিলের হিসেবে কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ কারচুপি হচ্ছে, যে কারণে অত্যাধিক হারে বাড়ছে বিদ্যুতের বিল। এইবার সেই সমস্যা দূর করবার জন্য CESC এর পথে হাঁটতে শুরু করলো WBSEDCL। WBSEDCL এক নতুন নিয়ম জারি করেছে।
আরো পড়ুন: গ্যাসের KYC-এর লাস্ট ডেট কবে? ক্লিয়ার করে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
CESC-এর মতো এইবার থেকে প্রতি মাসে ইলেক্ট্রিক বিল আসবে অর্থাৎ প্রতি মাসে কতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তা প্রতি মাসেই সঠিকভাবে জানা যাবে। ইলেকট্রিক মিটার দেখে ঠিক যতটা ইউনিট ব্যবহার হয়েছে তার ওপরেই বিল তৈরি হবে ও এই মাস থেকেই সেই নিয়ম কার্যকরী হবে, যার ফলে গ্রাহকরাও স্বস্তি পাবেন।
ওদিকে গত সোমবার নবান্নে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, CESCর বিদ্যুতের মাশুল যে বেড়েছে, এই বিষয়টি তার জানা ছিল না। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী CESCর সাথে কথা বলারও নির্দেশ দেন।