প্রত্যেক রেশন কার্ডধারীদের জন্য এখন বাধ্যতামূলক ই-কেওয়াইসি (ইলেক্ট্রনিক নো ইওর কাস্টমার-eKYC)। এবার থেকে আর আপনি ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করে রেশন নিতে পারবেন না। তাই এবার নিজের পরিচয় যাচাই করার জন্য ইলেকট্রনিক উপায়ে আপনার তথ্য আপডেট করতেই হবে। নাহলে কিন্তু একটাও রেশন সুবিধা মিলবে না বলে নিশ্চিত করেছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলা সরবরাহ অফিসার জানিয়েছেন যে জেলায় প্রায় 4,79,000 রেশন কার্ড এবং 1,890,000 রেশন ইউনিট রয়েছে৷ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সমস্ত রেশন কার্ড ধারক এবং ইউনিটকে অবশ্যই ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে হবে। জেলার সমস্ত রেশন দোকানে ই-পাস মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
রেশন কার্ডের ই-কেওয়াইসি করলে এই সুবিধা হবে
- ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করার পরে, কেউ অন্য কারও নাম ব্যবহার করে রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন না।
- ভোক্তার আঙুলের ছাপ ছাড়া রেশন দেওয়া হবে না।
কীভাবে রেশন কার্ডের e-Kyc প্রক্রিয়া করতে হবে?
জেলা সরবরাহ অফিসার সতীশ কুমার মিশ্র বলেছেন যে অগস্টেই মধ্যে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করেছেন।
1) রেশন কার্ডধারীরা শুধুমাত্র রেশনের দোকানে গিয়েই ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে পারেন, পাবলিক সার্ভিস সেন্টারে বা অন্য কোথাও নয়।
2) ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে, রেশন কার্ডধারীদের নিজেদের আধার কার্ড আনতে হবে।
3) তাদের আঙুলের ছাপ ই-পিওএস মেশিন ব্যবহার করে স্ক্যান করা হবে।
4) এই স্ক্যানের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া শেষ হবে।
5) কার্ডধারীরা প্রক্রিয়া চলাকালীন যে কোনও ভুল মোবাইল নম্বর সংশোধন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ নতুন নিয়ম সরকারের, এখন এই কাজের জন্যও লাগবে আধার কার্ড
একবার আপনার ই-কেওয়াইসি হয়ে গেলে, আপনি কোনও সমস্যা ছাড়াই আপনার রেশন সুবিধাগুলি পেতে সক্ষম হবেন। আগে থেকেই আপনার যদি কেওয়াইসি করা থাকে তবে নতুন করে এটি আর করার দরকার নেই। আসলে, রাজ্যে রেশন সংক্রান্ত কালোবাজারি কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকার কঠোর পরিশ্রম করছে।
তাই এখন ই-কেওয়াইসির সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করা হচ্ছে। অনেকে ইতিমধ্যেই ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে রেশনের দোকানে পৌঁছেছেন। এই প্রচেষ্টা রেশনের কালো বাজার এবং জাল রেশন কার্ড তৈরিকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করবে বলে আশা রেখেছে সরকার।