এবার ভাগ্যের চাকা খুলতে চলেছে কৃষকদের। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আগে বড় সুখবর দিল কেন্দ্র সরকার। এবার কাঁচা পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) প্রতি কুইন্টাল ৫,৬৫০ টাকা করে নির্ধারণ করেছে সরকার। হ্যাঁ একদম ঠিকই পড়েছেন। শুধু তাই নয়, ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ সবকিছুরই এবার এমএসপি বাড়ানো হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তে খুশির জোয়ার হয়েছে কৃষকদের মনে।
কতটা এমএসপি বাড়ানো হলো? পরিসংখ্যান কী বলছে?
২০২৪ সালে কাঁচা পাটের এমএসপি ছিল মাত্র ৫৩৩৫ টাকা। আর এবার তা ৩১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এবার দাম দাঁড়িয়েছে ৫,৬৫০ টাকা। শতকরা হিসেবে এটি ৬% বৃদ্ধি। আর শুধু এবছর নয়। বরং গত ১০ বছর ধরে পাটের এমএসপি বেড়েই চলেছে।
২০১৪-১৫ সালে যা ছিল মাত্র ২,৪০০ টাকা। আর ২০২৫-২৬ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৫,৬৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ২.৩৫ গুণ বৃদ্ধি। আর এটাই প্রমাণ করছে, কেন্দ্র সরকার এখন কৃষকদের কতটা আর্থিক সুরক্ষা দিতে চাইছে।
অন্যান্য ফসলের জন্য নতুন এমএসপি
এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন ফসলের এমএসপি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। যেমন-
- ধানের জন্য ২,৩০০ টাকা।
- গমের জন্য ২,৪২৫ টাকা।
- বার্লির জন্য ১,৯৮০ টাকা।
- জোয়ারের জন্য ২,৩২০ টাকা।
- রাগির জন্য ৪,২৯০ টাকা।
- তুতো ডালের জন্য ৭,৭৫০ টাকা।
- মুগডালের জন্য ৮,৬৮২ টাকা।
- উড়িদ ডালের জন্য ৭,৪০০ টাকা।
- সয়াবিনের জন্য ৪,৮৯২ টাকা।
- সূর্যমুখী বীজের জন্য ৭,২৮০ টাকা।
- তুলার জন্য ৭,১২১ টাকা।
- নারকেলের জন্য ১১,১৬০ টাকা।
- আখের জন্য ৩৪০ টাকা।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বিধবা ভাতা, কৃষক বন্ধু! প্রকল্পগুলির টাকা কবে ঢুকবে ব্যাঙ্কে?
এমএসপি বৃদ্ধি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
দিনের পর দিন কৃষকদের উপাদান খরচ বেড়ে চলেছে। আর উৎপাদনের খরচের তুলনায় এবার পাট চাষে ৬৬.৮% লাভ পাবেন তারা। এতে শুধু কৃষকদের পকেটেই নয়, বরং প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। কারণ পাট শিল্পের আরো বিকাশ হবে এবং পরিবেশবান্ধব ফসল হিসেবে পাটের চাহিদা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাবে।
পাঠ হোক কিংবা ধান, কৃষকবন্ধুদের জন্য এবার কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আশার আলো। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে তা আশা করা যায়।