দিন কুড়ি আগে অর্থাৎ গত ২ মে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ।
গতবারের থেকে এবারের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়ার মোট সংখ্যা এবং পাশের হার উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল নিয়ে এবার বড়সড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু যে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তা ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে। তবে এটি ২০২৪ সাল নয়, ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে একটি মামলায় এমন নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু।
আসলে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক পড়ুয়া প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়ে স্ক্রুটি নিয়ে করতে দিলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তার নম্বর বাড়ায়নি। পরে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে পরীক্ষার খাতা দেখতে চাইলে দেখা যায় জীবন বিজ্ঞানের চারটি প্রশ্নে সে সঠিক উত্তর লেখা সত্বেও পর্ষদ ৪ নম্বর কেটে নিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ আর কেউ বেকার থাকবে না? ৩০ লাখ চাকরি পাক্কা, কবে থেকে নিয়োগ শুরু?
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার জ্ঞানদ্বীপ বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌম্য সুন্দর রায় ২০২৩-র মাধ্যমিকে ৬৮২ নম্বর পেয়েছিল। জীবন বিজ্ঞানে সে ৯৬ নম্বর পায়। স্ক্রুটিনির পরেও তার নম্বর বাড়েনি। এরপর খাতার প্রতিলিপি দেখার পরই জানতে পারে ইচ্ছাকৃতভাবে পর্ষদ জীবন বিজ্ঞানে তার ৪ নম্বর কেটে নিয়েছে।
ওদিকে গত বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থানাধিকারের মোট নম্বর ছিল ৬৮৩। ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একটুর জন্য মেধা তালিকায় স্থান হয়নি সৌম্য সুন্দর রায়ের। এই নিয়ে ওই পড়ুয়া মনকষ্টে ভুগছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁর অভিভাবকরা।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওই মামলা উঠলে সৌম্য সুন্দর রায়ের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সম্পূর্ণ নম্বর দিলে তিনি ৬৮৬ নম্বর নিয়ে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে আসতেন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে সেই নম্বর না দেওয়ায় ওই ছাত্র মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ মা-বোনেরা 8,500 টাকা প্রতি মাসে পাবেন! কবে থেকে শুরু হবে জেনে রাখুন
এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ দেখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিস্তারিত বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই পড়ুয়ার অতিরিক্ত চার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি।