রাজ্যজুড়ে যখন SLST ২০১৬ এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকদের চাকরি (West Bengal Teacher) নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে, ঠিক তখনই সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি আবারও আশার আলো দেখাচ্ছে অনেক শিক্ষককে।
জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সকল জেলা স্কুল পরিদর্শকদের একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আর সেখানে স্পষ্টভাবে সুপ্রিম কোর্টে দুটি আদেশ কার্যকর করার কথা উল্লেখ রয়েছে। বলা রয়েছে, যাদের নিয়োগে কোনরকম দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি, তাদের আপাতত চাকরি থাকবে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত।
বিতর্কের পটভূমি
২০১৬ সালের স্কুল লেভেল সিলেকশন টেস্টের (SLST) মাধ্যমে নবম, দশম এবং একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রচুর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দুর্নীতি দেখা গিয়েছিল এবং কাগজপত্রে অসঙ্গতিও ধরা পড়ে। ফলে আদালতে একের পর এক মামলা শুরু হয়। অনেক শিক্ষকের চাকরি ঝুলে যায়, আবার কেউ কেউ চাকরি হারিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছে?
গত ৩রা এপ্রিল এবং ১৭ই এপ্রিল দুটি পৃথক শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যাদের নিয়োগে কোনরকম দুর্নীতি নেই, তাদের চাকরি আপাতত চাকরি যাবে না। তবে শর্ত একটাই, এই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আর এই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, এই সমস্ত শিক্ষকরা আগামী ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে পারবেন।
স্কুল পরিদর্শকদের কাছে কী কী নির্দেশ গেল?
স্কুল শিক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে একটি সরকারি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার স্কুল পরিদর্শককে তালিকা ধরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি WBSSC ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সেই তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির শিক্ষক তালিকা দেখে স্পষ্ট জানাতে হবে যে, কারা দুর্নীতিমুক্ত এবং কারা সন্দেহজনক।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের চলছে সিভিক নিয়োগ, সাথে অন্য চাকরিও! বিজ্ঞপ্তি জারি মমতার
আগামী দিনে কী হতে চলেছে?
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ যেমন অনেক শিক্ষককে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে, তেমনই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সময় মত সম্পন্ন করা রাজ্যের কাছেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। হ্যাঁ, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার আগামী দিন পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়ায়।