বছরের শুরু থেকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কর্মীদের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন সুবিধা চালু করেছে। ভাতা বাড়িয়েছে এবং পুজো বোনাস বাড়িয়েছে। উপরন্তু, রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের জন্য হেলথ স্কিম বা স্বাস্থ্য প্রকল্পেও একটি নতুন আপডেট জারি করা হয়েছে।
ফিনান্স ডিপার্টমেন্টের মেডিক্যাল সেল পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমে আরও বেশি রোগ কভার করার কথা ভেবেছে। আগে, এই স্কিমটি 17 টি রোগকে কভার করত, কিন্তু এখন এতে বাইপোলার অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার, অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার এবং নিউরোসাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার এর মতো বেশ কিছু রোগ নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কর্মচারীরা এবার নিম্নলিখিত রোগ হলে, তার ওষুধের খরচ দাবি করতে পারে। তবে হ্যাঁ, কর্মীদের যে এই রোগ রয়েছে, তা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণ করতে হবে।
1. বাইপোলার অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার
2. অবসেসিভ-বাধ্যতামূলক ব্যাধি
3. সিজোফ্রেনিয়া
4. মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার
5. অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার
6. হাইপারকাইনেটিক ডিসঅর্ডার সহ নিউরোসাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার
স্কিমে কোন কোন নতুন হাসপাতাল যুক্ত করা হয়েছে?
1. কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট (কালিকাপুর)
2. তপোবন হাসপাতাল (দুর্গাপুর)
3. টেকনো ইন্ডিয়া দামা হেলথ কেয়ার সেন্টার (ইএম বাইপাস)
4. আরামবাগ ডায়াগনস্টিক (আরামবাগ)
5. এএসজি হাসপাতাল (বিটি রোড এবং দেশপ্রাণ শাসমল রোড)
6. হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট (শিলিগুড়ি)
7. জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন (চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর)
8. মেডিট্রাস্ট ডায়াগনস্টিকস (কাশিপুর রোড, দমদম)
আরও পড়ুনঃ চলে এলো চোখের নতুন ওষুধ! এটি দিলে আর চশমা লাগবে না? কত টাকা দাম দেখুন
রাজ্য সরকারের, এই প্রকল্পের অধীনে সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা বিরাট উপকার পাবেন। তাঁরা নিজেদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য 2 লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন। অর্থাৎ 2 লাখ টাকা পর্যন্ত বা এর কম চিকিৎসা খরচ সরকার দেবে।
তবে চিকিৎসা খরচ 2 লাখের বেশি হলেও, এই বিলটি সরকারই পরিশোধ করবে। তবে প্ৰথমে অতিরিক্ত টাকা রোগীকে দিতে হবে। পরে সেই বিল দেখে সরকার টাকা ফেরত হবে। সরকারি কর্মচারীরা মনে রাখবেন, কোনও হাসপাতালকে চিকিৎসা করতে গেলে অবশ্যই আপনার হেলথ স্কিমের সঙ্গে ওই হাসপাতালের সংযোগ আছে কিনা তা দেখে নেবেন।