লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই বেতন ও পেনশন বিভাগ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের অর্থ দফতর। তাদের এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই মাথা ব্যাথা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এর ফলে অনেকেই প্রাথমিকভাবে ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে বলা হচ্ছে, গোটা বিষয়টা সহজ-সরল করতে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডিরেক্টরেট অফ ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়। তাতেই জানানো হয়েছে কলকাতায় অবস্থিত ‘পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ‘পেনশন ডিসবার্সমেন্ট’ বিভাগের কার্যালয়টিও অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আগামী ৯ মে থেকে পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কার্যালয় দুটি তাদের পুরনো ঠিকানা সিভিল বিল্ডিং ও জহর বিল্ডিংয়ে আর কার্যকরী থাকবে না। দুটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসই মির্জা গালিব স্ট্রিটে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মা-বাবাকে বোকা বানিয়ে স্কুল ফাঁকির দিন শেষ! স্কুলে স্কুলে নতুন নিয়ম
আগামী ৯ মে থেকে এই মির্জা গালিব স্ট্রিটের পুরনো খাদ্য ভবনের ১, ২ ও ৩ নম্বর তলা মিলিয়ে চলবে। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তাদের বেতন এবং অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও জটিলতা দেখা দিলে এবার মির্জা গালিব স্ট্রিটের অফিসে যেতে হবে।
ওই একই বিল্ডিংয়ে উঠে যাচ্ছে পেনশন ডিসবার্সমেন্ট বিভাগের কার্যালয়টিও। আগে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অর্থ দফতরের এই অফিসগুলো চলত। কিন্তু সেগুলোকে এখন একই বিল্ডিংয়ে নিয়ে চলে আসায় কর্মীদের বকেয়া সংক্রান্ত ফাইল ও পেনশন সংক্রান্ত ছাড়পত্র আরও দ্রুত চলে আসবে বলে সরকারপন্থী সরকারি কর্মীরা দাবি করেছেন।
আরো পড়ুনঃ ২৫,৭৫৩ চাকরি বাতিলের পর এবার ৭০,০০০ প্রাইমারি চাকরি বিপদে
তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ায় প্রথম দিকে কেউ কেউ পুরনো ঠিকানায় চলে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে পারেন সেই আশঙ্কা থাকছেন। তবে এটা যে কোনও ক্ষেত্রেই দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি কার্যালয় অন্যত্র উঠে গেলে প্রাথমিকভাবে এমন কিছু সমস্যা থাকে। যদিও দ্রুত সেই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।