রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলার মঝি লাড়কি বহিন যোজনা (Mukhyamantri Majhi Ladki Bahin Yojana) নারীদের আর্থিকভাবে সমর্থন এবং ক্ষমতায়নের জন্য চালু করেছে। এই স্কিমটি মহারাষ্ট্রের মহায়ুতি সরকারের নির্বাচনে সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। তবে নির্বাচনের পরে এই স্কিমের কিস্তি সময় মত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে দেরি হয়েছে। বর্তমানে সপ্তম কিস্তি নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে।
কিস্তি নিয়ে বোনেদের অসন্তোষ
গত বছরের জুলাই মাস থেকে মঝি লাড়কি বহিন যোজনা (Mukhyamantri Majhi Ladki Bahin Yojana) এর কিস্তি প্রতি মাসে সময় মতো পৌঁছেছিল। তবে ডিসেম্বর মাসের কিস্তি একদম মাসের শেষের দিকে পৌঁছায়। জানুয়ারি মাসে সপ্তম কিস্তি এখনো পর্যন্ত ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছায়নি। অনেক নারী সুবিধাভোগী এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কবে আসবে সপ্তম কিস্তি?
নারী এবং শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী অদিতি তটকারে জানিয়েছেন যে, সপ্তম কিস্তির টাকা জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ থেকে একাউন্টে জমা পড়তে শুরু করবে। এই টাকা পৌঁছাতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। সপ্তম কিস্তি হিসেবে প্রত্যেক মহিলা ১৫০০ টাকা করে পাবেন।
কেন জানুয়ারি মাসে দেরি হচ্ছে?
সরকার প্রথমে জানিয়ে দিয়েছিল যে, মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এই কিস্তি ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়া হবে। তবে সংক্রান্তির দিন টাকা না পৌঁছানোয় সুবিধাভোগীদের আরো অপেক্ষা বেড়ে গিয়েছিল। সরকার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, স্কিমের সপ্তম কিস্তি জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ থেকে দেওয়া হবে।
অ্যাপ্লিকেশন যাচাই এবং সুবিধা বন্ধের আশঙ্কা
সরকার এই স্কিমের সুবিধাভোগী নারীদের আবেদন যাচাই করা শুরু করে দিয়েছে। যারা এই স্কিমের শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হবেন তাদের সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া নমো শেঠকারী সম্মান যোজনা থেকে যারা সুবিধা নিচ্ছেন, তারা মঝি লাড়কি বহিন যোজনা (Mukhyamantri Majhi Ladki Bahin Yojana) থেকে বাদ পড়বেন। এই ঘোষণা অনেক মহিলাদের জন্য হতাশাজনক।
১৫০০ টাকা নাকি ২১০০ টাকা?
বর্তমানে সপ্তম কিস্তিতে ১৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চের বাজেটে ২১০০ টাকার প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে। এই সুবিধা নারীরা শুধুমাত্র বাজেট পেশ হওয়ার পরেই পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে এখনই বিনিয়োগ করুন, প্রতি মাসে ২০,০০০/- টাকা রিটার্ন মিলবে
স্কিমের ভবিষ্যৎ
লাড়কি বহিন যোজনা অনেক নারীর জীবনে আর্থিক সুরক্ষা নিয়ে এসেছে। তবে কিস্তি সময় মতো না পৌঁছালে তাদের আর্থিক পরিকল্পনা আবার ভেঙে যেতে পারে। সরকারের উচিত এই স্কিমের অন্তরায় দূর করা এবং সময় মত কিস্তি প্রদান করা।
লাড়কি বহিন যোজনা নারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে, যা তাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। তবে কিস্তি প্রদানে বিলম্ব এবং সুবিধা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা স্কিমের সাফল্যের বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আশা করা যাচ্ছে সরকার এই স্কিমটি কার্যকর করে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেবে।