রান্নার গ্যাসের সংযোগ, উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের পরিকাঠামো, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে এবার মাঠে নামছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হ্যাঁ, নবান্ন থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এই মুহূর্তটি কতজন এলপিজি গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছেন এবং ঠিক কতজন উপভোক্তা উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য খুব শীঘ্রই পাঠাতে হবে।
হঠাৎ কেন এই তথ্য চাওয়া হলো?
আসলে বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ পরিবারই রান্নার জন্য গ্যাস ব্যবহার করলেও পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে আলাদা চিত্র। কেন্দ্র সরকারের এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এখনো দেশের ৩০% পরিবার রান্না করে কাঠ, খরকুঠো বা উনুনে।
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও খুব একটা যে ভালো, তা নয়। বহু গ্রামীণ পরিবার এখনো গ্যাস সংযোগ পেলেও তা ব্যবহার করতে পারছে না। আর নবান্নের মতে এই ব্যবধান দূর করতেই রাজ্য সরকার উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে।
এলপিজি সংযোগের বর্তমান চিত্র
হিসাব বলছে, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে মোট গ্যাস সংযোগ রয়েছে ২.৭০ কোটি। আর এর মধ্যে ১.৩০ কোটি পরিবার উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। অথচ কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্য ছিল, ২০২৪ সালের মধ্যেই রাজ্যের ৭৫ লক্ষ নতুন সংযোগ দেওয়া।
এখন সরকার জানতে চাইছে, কতজন গ্রাহক বছরে মাত্র ১ বা ২টো সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন এবং কেন অনেকেই সংযোগ থাকা সত্বেও গ্যাস ব্যবহার করছেন না। এমনকি কোথায় কোথায় এই প্রকল্প এখনো পৌঁছোয়নি, সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিন বন্ধ থাকবে এটিএম? গ্যাস সিলিন্ডারও কিনে রাখতে হবে? দেখুন সরকারের নির্দেশ
গ্যাস ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার
জানিয়ে রাখি, শুধুমাত্র রান্নার গ্যাস নয়, বরং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের অবস্থারও মূল্যায়নের দিকে নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। হ্যাঁ, নবান্ন জানতে চাইছে, পঞ্চায়েতে কত দিন শ্রম দিবস হয়েছে, বার্ধক্য ভাতা কজন পাচ্ছে, কোথায় পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে বা কোথায় নেই ইত্যাদি। এই সমস্ত তথ্যগুলি খুব তাড়াতাড়ি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে পাঠাতে হবে বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের দেওয়া কড়া পদক্ষেপ শুধুমাত্র রান্নার গ্যাসের জন্য নয়, বরং গোটা রাজ্যে সামগ্রিক উন্নয়ন এবং পরিকল্পনাকে আরও নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্যই নেওয়া। কারা প্রকৃত সুবিধাভোগী এবং কারা এখনও প্রকল্প থেকে পিছিয়ে রয়েছে, সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এবার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে।