২০২৫ এর এপ্রিল মাসে একধাক্কায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর আদালতের নির্দেশে সংকটে পড়েছেন বহু শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী। এমনকি নবান্নেও এর জেরে বিভিন্ন অভিযান হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হওয়া স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলে বাতিল করে দেওয়া হয়। আর এর ফলে শুধুমাত্র শিক্ষক নন, বরং কর্মহীন হয়ে পড়ে বহু গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে কর্মরত শিক্ষা কর্মীরাও। আর তাদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার এবার বিরাট ঘোষণা করল।
মমতার নয়া প্রকল্প
বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, চাকরি হঠাৎ চলে যাওয়ার পর ওদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তাই আমরা রাজ্যের শ্রম দপ্তরের তরফ থেকে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছি। যার নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলি হুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিম।
আসলে এই প্রকল্প অনুযায়ী চাকরি হারা গ্রুপ-সি ও শিক্ষা কর্মীরা প্রতি মাসে ২৫,০০০ টাকা এবং গ্রুপ-ডি কর্মীরা প্রতিমাসে ২০,০০০ টাকা করে ভাতা পাবে। আর এই ভাতা দেওয়া হবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে এবং চলবে যতদিন না পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন।
সুপ্রিম কোর্টে কী হয়েছিল?
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযোগ আদালত পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। আর পরবর্তী সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র তাদেরই ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য কোনরকম ছাড় দেওয়া হয়নি। ফলে হাজার হাজার শিক্ষাকর্মী কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে। আর তাদের পাশে দাঁড়াতেই মমতা ব্যানার্জি এই স্কিম চালু করেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে ১ টাকা না থাকলেও করা যাবে UPI পেমেন্ট! নয়া ফিচার আনলো NPCI
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কারো সংসার চলে না, কারো ছেলে মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। আর এসব শুনে মন সত্যি খারাপ হয়। সরকার শুধুমাত্র রাজনীতি করে না। মানুষের জীবনের কথাও ভাবে। তাই এই স্কিম চালু করতে আমরা বাধ্য হয়েছি।
এমনকি তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেছেন, অনেকে খেতে দেওয়ার মুরদ রাখে না। আবার কিল মারতে পারে। আর আমরা রাজ্যবাসীর পাশে আছি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষা কর্মীরা উপকৃত হবে।